আগুনে লড়াইয়ের এল ক্ল্যাসিকোয় ১৭ বছর পর ড্র
চেনা মাঠ, পরিপূর্ণ দর্শকের সঙ্গে চোটজর্জরিত প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু কোনো কিছুই কাজে এলো না। ঘরের মাঠে ফেভারিট বার্সেলোনা পারল না রিয়ালকে হারাতে। উল্টো লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ, আন্তোনিও গ্রিজম্যানদের মাঠে দাপট দেখালেন করিম বেনজেমা, গ্যারেথ বেল, রামোসরা। তাতে লা লিগায় ড্রয়ে শেষ হলো দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সা-রিয়ালের আগুনে এল ক্ল্যাসিকো। ১৭ বছর পর এই প্রথম ড্র হলো রিয়াল-বার্সার লড়াই।
চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর হওয়ার কথা ছিল রিয়াল মাদ্রিদ বনাম বার্সেলোনার প্রথম এল ক্ল্যাসিকো। কিন্তু রাজনৈতিক ইস্যুতে বার্সায় বিক্ষোভ শুরু হলে দ্রুত সূচি পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু সূচি পরিবর্তন হলেও ফুটবলের অন্যতম সেরা দ্বৈরথের উত্তাপ একটুও কমেনি; বরং ক্যাম্প ন্যুতে আগুন ঝরানো লড়াই দেখল ফুটবলবিশ্ব। ড্র হলেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালের বিপক্ষে টানা সাত ম্যাচ অপরাজিত রইল বার্সেলোনা।
বার্সার মাঠে এদিন ম্যাচের শুরুতেই সুযোগ পায় রিয়াল। কিন্তু অতিথিদের হয়ে করিম বেনজেমার নেওয়া প্রথম শট রুখে দেন মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগান।
প্রথমবার ব্যর্থ হয়ে আরো আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে রিয়াল। পরপর আক্রমণে বার্সা শিবির কাঁপিয়ে দেয় জিনেদিন জিদানের দল। ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিট বার্সার ডি-বক্সে চাপ রাখে অতিথিরা। সপ্তদশ মিনিটে আরেকটি সুযোগ আসে অতিথিদের। কিন্তু কর্নার থেকে কাসেমিরোর হেড গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দলকে রক্ষা করেন জেরার্ড পিকে।
সাত মিনিট পর আবারও সুযোগ। এবার করিম বেনজেমার শট ঠেকিয়া দলের ত্রাতা হয়ে ওঠেন স্টেগান। পরমুহূর্তে ঝাঁপিয়ে বাঁচান আরেকটি দূরপাল্লার শট।
চাপের মুখে থাকা বার্সার প্রথম সুযোগ আসে ৩১তম মিনিটে। সতীর্থের বাড়ানো বল প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে পেয়ে যান মেসি। তবে তাঁর বুলেট গতির শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে সে যাত্রায় রিয়ালকে বাঁচিয়ে দেন রামোস।
১০ মিনিট পর আরেকটি সুযোগ পায় বার্সা। কিন্তু এবারও মেসির লক্ষ্য পূরণ হতে দেয়নি রিয়াল মাদ্রিদ।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও গোলশূন্য দুদল। ৬০তম মিনিটে আরেকবার সুযোগ পান মেসি। এবারও ফরাসি তারকা গ্রিজম্যানের বাড়ানো বল ধরে সেটা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। দুই দলের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্রতেই শেষ হলো এল ক্ল্যাসিকো।
চলতি লিগে এখন পর্যন্ত ১৭টি ম্যাচ খেলে ১১ জয়, তিন হার ও তিন ড্রয়ে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচ খেলে ১০ জয় ও ছয় ড্র ও এক হারে সমান ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে রিয়াল মাদ্রিদ।