আপনার জিজ্ঞাসা
ঋণ করে হজ করা কি বৈধ?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ৬০৩তম পর্বে ঋণ করে হজ করলে তা বৈধ হবে কি না, সে বিষয়ে নাটোর থেকে টেলিফোনের মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন মেহেদি হাসান। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া।
প্রশ্ন : আমি আমার মা-বাবাকে হজে পাঠাতে যাচ্ছি। আমার কাছে নগদ টাকা নেই। আমি লোন করে তাঁদের হজের টাকা দেব। এ ক্ষেত্রে তাঁদের হজ কি বৈধ হবে?
উত্তর : আপনি কেন লোন করে, হারাম কাজ করে মা-বাবাকে হজ করাবেন। যদি আপনার কাছে টাকা না থাকে, তাহলে আপনার হজ করানোর কোনো প্রয়োজন নেই। আপনার মা-বাবার কাছে যদি টাকা না থাকে, তবে তাঁদের ওপর হজ ফরজ নয়। আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, ‘আল্লাহর ঘরে পৌঁছা পর্যন্ত যার আর্থিক ও শারীরিক সামর্থ্য আছে, তার ওপর হজ ফরজ হবে।’ সুতরাং, মা-বাবার যদি আর্থিক সামর্থ্য না থাকে, তাহলে লোন করে তাঁদের হজ করানোর এই দায়িত্ব আপনি কেন নিচ্ছেন। আপনি ভুল করছেন।
এখন যদি আপনি তাঁদের টাকা দেন, আপনার এই দায় আপনার ওপর বর্তাবে, গুনাহগার আপনি হবেন। তাঁদের হজ হয়ে যাবে। যদি সুদের ভিত্তিতে লোন দেন, তাহলে এটি হারাম হবে। আর যদি স্বাভাবিকভাবে কেউ তাঁকে কর্জে হাসানা দিয়ে থাকেন, তাহলে এ ক্ষেত্রে হারাম হওয়ার প্রশ্ন আসে না। এটি নাজায়েজ নয় এবং তাঁদের হজ করতে বাধা নেই। তবে আমি মনে করি, এ ক্ষেত্রেও লোন করার প্রয়োজন নেই। কারণ, ঋণ পরিশোধ করার আগেই হয়তো আপনার মালাকুল মউত আসতে পারে। সুতরাং এ ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।