আপনার জিজ্ঞাসা
কেয়ামতের দিন সফলকাম ও ঈর্ষণীয় হবো কোন আমলের দ্বারা?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ২৩০৭তম পর্বে কেয়ামতের দিন সফলকাম ও ঈর্ষণীয় হবো কোন আমলের দ্বারা, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া।
প্রশ্ন : কেয়ামতের দিন সফলকাম ও ঈর্ষণীয় হবো কোন আমলের দ্বারা?
উত্তর : রাসুল (সা.)-এর হাদিস থেকে যেটা আমরা বুঝতে পেরেছি সেটা হলো, মিজানের মধ্যে সবচেয়ে ভারী যে আমলটি হবে, সেটা হলো উত্তম চরিত্র। উত্তম চরিত্রটা মিজানের বা পাল্লার মধ্যে সবচেয়ে ভারী আমল হবে এবং এর মাধ্যমে বান্দারা সবচেয়ে বেশি সফলতা লাভ করতে পারবে। এটা রাসুল (সা.) সমস্ত আমলের মধ্যে কমন নির্দেশনা দিয়েছেন। রাসুল (সা.) কোথাও কোথাও কিছু সুনির্দিষ্ট আমলকে কেয়ামতের দিন নাজাতের জন্য অথবা সফলতার জন্য মানদণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন, কিন্তু সেটা কোনো নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে। বাকি কমন যে নির্দেশনা সেটা হচ্ছে, উত্তম চরিত্র। এটা হলো এমন নেক আমল, যে নেক আমলের মাধ্যমে বান্দারা কেয়ামতের দিন মিজানের মধ্যে ভারী নেক আমল হিসেবে পাবে।
কিছু সুনির্দিষ্ট আমলকে মর্যাদাপূর্ণ আমল হিসেবে রাসুল (সা.) আখ্যায়িত করেছেন। যেমন, সিয়াম। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তুমি সিয়াম পালন করো।’ এটা রাসুল (সা.) এমনভাবে বলেছেন যে এর সমতুল্য কোনো আমলই নেই।
যেমন, রাসুল (সা.) যখন কোরআনের কথা উল্লেখ করেছেন, তখন রাসুল (সা.) স্পষ্ট করেছেন, ‘কোরআন তোমার পক্ষে থাকবে অথবা তোমার বিপক্ষে দাঁড়াবে।’ যারা কোরআন তিলাওয়াত করেছে, কেয়ামতের দিন কোরআন তাদের জন্য সুপারিশ করবে। তাহলে বোঝা গেল যে, কোনো প্রেক্ষাপটে রাসুল (সা.) কিছু কিছু নেক আমলকে প্রাধান্য দিয়েছেন। কিন্তু কমন যে নেক আমল মিজানের বা পাল্লার মধ্যে সবচেয়ে ভারী আমল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সেটা হচ্ছে, উত্তম চরিত্র।