আপনার জিজ্ঞাসা
কাজা নামাজের হিসাব কীভাবে দেবো?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ২২৬৮তম পর্বে কাজা নামাজের হিসাব কীভাবে দেবো, এ বিষয়ে ময়মনসিংহ থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন শামীমা হক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া।
প্রশ্ন : বিগত জীবনে না বুঝে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় যে কত নামাজ বাদ দিয়েছি, তার সঠিক হিসাব নেই। যখন বুঝতে পারি, সালাতুত তওবা নামাজ আদায় করে আর ইচ্ছা করে নামাজ কাজা করি না। অনিচ্ছাকৃত কাজা হয়ে গেলে কাজা আদায় করে ওয়াক্তিয়া নামাজ আদায় করি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ফেলে আসা নামাজের হিসাব কীভাবে দেবো? উমরি কাজা করে? উমরি কাজার ব্যাখ্যা জানতে চাই। আর রোজার ব্যাপারে যদি প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার ফরজ রোজার কাজা করি, তাহলে কি বিশেষ বারের ফজিলত পাওয়া যাবে?
উত্তর : কাজা সালাতের জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করবেন এবং নিয়মিত সালাত আদায় করবেন। আর বেশি বেশি পরিমাণ নফল সালাত আদায় করবেন। এর জন্য উমরি কাজা নেই। উমরি কাজা হচ্ছে, গোটা জীবনের সালাত হিসাব করা। আপনার বয়স কত হয়েছে, যেমন ধরুন ৫০ বছর। এখন ৫০ বছরের মধ্যে কত দিন রয়েছে, দিনে পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের হিসাব করে ৫০ বছরের কাজা সালাত আদায় করবেন, এ কাজটি রাসুল (সা.) বা সাহাবা কেরাম কারো বক্তব্য দ্বারা সাব্যস্ত হয়নি। সুনির্দিষ্ট কোনো হকউল্লাহ যদি কেউ নষ্ট করে থাকেন, তাহলে তিনি আল্লাহর কাছে তওবা করবেন এবং তাঁর ওপর যে ফরজ রয়েছে, সেই ফরজটুকু তিনি আদায় করবেন।
ঠিক একই বক্তব্য সিয়ামের ক্ষেত্রেও। আপনি সোমবার ও বৃহস্পতিবার সিয়াম পালন করতে পারেন। তারপর মাসের যে সিয়াম রয়েছে ১৩, ১৪, ১৫ এগুলোও পালন করতে পারেন। কোনো ব্যক্তি যদি ১৩, ১৪, ১৫ এই সিয়াম পালন করতে পারে, তাহলে রাসুল (সা.) বলেছেন, সে যেন সারা জীবন সিয়াম পালন করল। আপনি এই সিয়ামের ফজিলত পেয়ে যাবেন।
তাই নফল সিয়াম যেগুলো রাসুল (সা.) গুরুত্ব দিয়েছেন, যেমন : আরাফার দিনের সিয়াম। আরাফার দিনের সিয়ামের ব্যাপারে রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ দুই বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন। সুতরাং, নফল ও ফজিলতপূর্ণ সিয়াম আদায় করবেন।