শবে কদরের রাতে দেশ, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনা
সারা দেশে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় ও ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনী অতিবাহিত করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
নিজেদের গুনাহ মাফ চেয়ে, বরকত কামনাসহ দেশ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি ও সমৃদ্ধ লাভে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনায় চোখের পানি ফেলেছেন বান্দারা।
লাইলাতুল কদরের রাতটি মুসলমানদের কাছে অনেক ফজিলতপূর্ণ ও বরকতময়। পবিত্র কোরআনের ৯৭তম সুরা ‘আল-কদরে’ এ রাতকে হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ রাত ঘোষণা করেছেন মহান আল্লাহতায়ালা। নবী হজরত মোহাম্মদ (স.) কে উদ্দেশ করে আল্লাহ বলেছেন, ‘তুমি কি জানো এই রাত কী? আবার আল্লাহ তাআলা নিজেই এর উত্তর দিয়ে বলেছেন- ‘এই রাত হাজার বছরের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। যারা সূর্যাস্তের পর থেকে পরের দিন সূর্যোদয় পর্যন্ত ইবাদত-বন্দেগি করবে, তারা হাজার মাসের ইবাদতের সওয়াব পাবে, বর্ষিত হবে আল্লাহর রহমত ও শান্তি।’
মাহে রমজানের এ রাতেই মানবজাতির জন্য সার্বিক দিকনির্দেশনা, কল্যাণ ও তাদের পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআন মজিদ নাজিল করেন।
সারা দেশে মুসলমানরা নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, দরুদ ও আল্লাহর বিধানের আলোচনা শোনার মাধ্যমে রাতটি অতিবাহিত করেন।
মসজিদে-মসজিদে ও ঘরে-ঘরে মহান আল্লাহর গুণগান ও তাঁর প্রতি বিনীতভাবে অবনত মস্তকে নতজানু হন মুসলমানরা। তাঁর কাছে মাগফিরাত, রহমত ও নাজাত চান।
কেউ কেউ ইবাদত বন্দেগির পাশাপাশি পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়া প্রিয়জনদের কবরের পাশে গিয়ে তাঁদের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে মাগফিরাত (ক্ষমা ও তাদের আত্মার শান্তি) কামনা করেন।
ফজিলতপূর্ণ রাত হওয়ায় মুসলমানরা এই রাতে মহান আল্লাহর কাছে নিজেদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করার পাশাপাশি দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য ঐক্য, সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করেন।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জাতীয়ভাবে রাতটি যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় অতিবাহিত করতে মাগরিব থেকে ফজর পর্যন্ত নানা ধর্মীয় কর্মসূচি পালন করা হয়। ফজরের নামাজের পর আখেরি মোনাজাতে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয় বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
লাইতুল কদরের পরের দিন আজ রোববার সারা দেশে সরকারি ছুটি।