আপনার জিজ্ঞাসা
স্বামীর অনুমতি ছাড়া নফল রোজা রাখা যাবে?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ২২৮০তম পর্বে স্বামীর অনুমতি ছাড়া নফল রোজা রাখা যাবে কি না, সে বিষয়ে মেইলে জানতে চেয়েছেন সাব্বির আহমেদ। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া।
প্রশ্ন : যদি কোনো মহিলা সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখেন, কিন্তু তাঁর স্বামী বিষয়টি পছন্দ না করেন বা নিষেধ করেন, সে ক্ষেত্রে ওই মহিলার করণীয় কী?
উত্তর : কোনো মহিলা সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখেন, কিন্তু তাঁর স্বামী বিষয়টি পছন্দ করেন না বা নিষেধ করেন, তাহলে তার ওপর ওয়াজিব হলো এই নফল সিয়াম ভঙ্গ করা। কারণ, নফল সিয়ামের জন্য যদি স্বামী অনুমতি না দেন, সে ক্ষেত্রে তার জন্য নফল সিয়াম জায়েজ নেই। তাই তিনি স্বামীর অনুমতি নেবেন, স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষে সিয়াম পালন করবেন। আপনার স্বামী যদি নিষেধ করে, তাহলে আপনি নফল সিয়াম ভঙ্গ করবেন। কারণ, এ ক্ষেত্রে স্বামীর হকটা হলো ওয়াজিব। নফলকে আমরা ওয়াজিবের ওপর প্রাধান্য দিতে পারি না। ইসলামী শরিয়তে ওয়াজিবের গুরুত্ব অনেক বেশি।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে নারী তাঁর স্বামীর আনুগত্য করবে, অর্থাৎ স্বামীর আনুগত্য করাকে আল্লাহ জান্নাতে প্রবেশের একটি কারণ বা উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছেন।’ সুতরাং স্বামীর আনুগত্যের বিষয়টি ইসলামী শরিয়তের মধ্যে একটি বাধ্যতামূলক বিষয়।
তবে উত্তম হয় স্বামীর সঙ্গে আলাপ করে যদি তিনি নফল সিয়াম পালন করেন। আর স্বামী যদি তাঁকে অনুমতি দিয়ে থাকেন, সেটা সবচেয়ে ভালো। এ ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়ার কারণে নফল সিয়ামের ফজিলত পেতে পারেন।