আপনার জিজ্ঞাসা

শাশুড়ি, ননদরা হিংসা করে কষ্ট দিলে কী করব?

Looks like you've blocked notifications!

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

আপনার জিজ্ঞাসার ২১৬৩তম পর্বে শাশুড়ি ননদরা মনের হিংসা থেকে বউকে কষ্ট দিলে তার করণীয় সম্পর্কে কুমিল্লা থেকে চিঠিতে জানতে চেয়েছেন তানজিলা মজুমদার। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।

প্রশ্ন : শাশুড়ি, ননদরা মনের হিংসা থেকে কষ্ট দেয়, কী করব?

উত্তর : এটি একটা আবেগের কথা বলেছেন। যদি কেউ আপনার সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করে থাকে, তার বিচারের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিনই যথেষ্ট।

আল্লাহর রাসুলের (সা.) ব্যাপারে অনেকে অনেক কথা বলেছে, অনেক রটনা রটিয়েছে, অপবাদ দিয়েছে, লোকদের কাছে পাগল বলেছে, বিভিন্ন ধরনের কথা বলেছে, এমনকি অত্যাচারও করেছে। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা কোরআনের মধ্যে বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা কি তাঁর বান্দাদের জন্য যথেষ্ট নয়?’

আপনি শুধু এই আয়াতটুকু উপলব্ধি করুন যে, আল্লাহ তায়ালাই আপনার জন্য যথেষ্ট। সাক্ষী দেওয়ার প্রয়োজন নেই, সাক্ষী দাঁড়িয়ে যাবে। আপনি দেখবেন যে আল্লাহর পক্ষ থেকে সাক্ষী দাঁড়িয়ে গেছে।

যদি সত্যিকার হকের ওপর আপনি প্রতিষ্ঠিত থাকেন, তাহলে আপনার পক্ষে লোকেরা কথা বলবে এবং আপনার পক্ষেই সাক্ষ্য দেবে। আপনার পেছনে যতই অপবাদ বা কুৎসা রটনা করা হোক না কেন, এগুলো কোনো কাজে আসবে না।

তাই আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করার জন্য চেষ্টা করতে  থাকুন। তাহলে গোটা দুনিয়ার শুধু নয় বরং আসমানের সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারবেন। আর যদি দুনিয়ার কাউকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেন, তাহলে সর্বোচ্চ হয়তো ১২ জনকে সন্তুষ্ট করতে পারবেন, বাকি সবাই অসন্তুষ্ট থেকে যাবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকেও সন্তুষ্ট করতে পারবেন না।

তাই আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য চেষ্টা করুন। এই ধরনের চিন্তা একেবারেই বাদ দেন। এই ব্যাপারে কোনো মাথাব্যাথারই দরকার নেই। কে কী বলল, কার কী রটনা আছে, কার কী অপবাদ আছে, কার কী কুৎসা আছে, এগুলো নিয়ে কোনো চিন্তা করার দরকার নেই। শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির চিন্তা করুন, নিজের হকের অনুসরণ করুন। তাহলে দেখবেন আল্লাহ তায়ালার রহমতে আপনার আশপাশের লোকজনই আপনার পক্ষে কথা বলছে। আপনার পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা বলতেও হবে না। যদি প্রয়োজন হয় তারা নিজেরাই সাক্ষ্য দেবে। আল্লাহ তায়ালা আপনার জন্য তাদের প্রস্তুত করে দেবেন। এখানে আপনার ধৈর্য ধরাটাই গুরুত্বপর্ণ বিষয়।