আপনার জিজ্ঞাসা
জাকাতের টাকা থেকে কি মজুরি দেওয়া যাবে?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। শরীফ বায়জীদ মাহমুদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. আবু বকর মুহাম্মদ জাকারিয়া।
আপনার জিজ্ঞাসার ২১৩৬তম পর্বে শ্রমিকের মূল্য বা মজুরি জাকাতের টাকা হতে পরিশোধ করলে শরিয়তসম্মত হবে কি না, সে সম্পর্কে লক্ষ্মীপুর থেকে চিঠিতে জানতে চেয়েছেন নুরে ইলাহী ভাট। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : কিছু কিছু মানুষ শ্রমিকের মূল্য বা মজুরি জাকাতের টাকা হতে পরিশোধ করে থাকেন। এটা কি শরিয়তসম্মত?
উত্তর : কখনো নয়, জাকাতের টাকা সম্পূর্ণ আলাদা এবং শ্রমিকের মূল্য দিতে হবে আলাদা।
জাকাতের টাকা দিতে হবে এমন লোককে যে আপনার কোনো কাজ করেনি। যদি কাজ করেও তাহলে এই লোককে এমন কোনো প্রস্তাব দেওয়া যাবে না যে, তুমি কাজ বেশি করলে তোমাকে জাকাতের টাকাটাও দেব বা বেশি কাজ করলে তোমাকে পরবর্তীতে আমি পুষিয়ে দেব। এই জাতীয় কোনো প্রস্তাব থাকলে তাঁকে কিন্তু জাকাতের টাকা দেওয়া যাবে না।
জাকাতের টাকার হকদার হচ্ছে এমন লোক যেই লোকের সঙ্গে আপনার কোনো লেনদেন হয়নি, যার কাছ থেকে কোনো বাড়তি পাওয়ার বা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই জন্য নিজের কর্মচারী বা নিজের ঘরে যারা কাজ করে বুয়ারা বা যারা ড্রাইভার, এদের যাকাতের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রিম কোনো ঘোষণা থাকতে পারবে না। এমনকি তাঁরাও কোনো আশায় থাকতে পারবে না যে আমাকে জাকাতের টাকা দেবে এই জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এই রকম অগ্রিম কোনো কাজ করালে সেটা কিন্তু জায়েজ হবে না, জাকাত আদায় হবে না।
এই জন্য কেউ যদি কোনো মজুরি দেয় তাহলে সেটা জাকাত আদায় হয়নি। মজুরি দিলে জাকাত আদায় হবে না। মজুরি আলাদা দিতে হবে। অর্থাৎ জাকাত দিয়ে মজুরি দেওয়া যাবে না। জাকাত আলাদা দিতে হবে। কেউ যদি মজুরি দিয়ে জাকাত দিয়ে থাকে তাহলে তার মজুরি দেওয়া হয়েছে কিন্তু জাকাত আদায় হয়নি। তাকে জাকাত ভিন্নভাবে আবার দিতে হবে।