আপনার জিজ্ঞাসা
শিশুর বুকের দুধ পানের কারণে রোজা রাখতে না পারলে করণীয় কী?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ মতিউল ইসলাম।
রমজানের বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার প্রথম পর্বে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর কারণে রোজা রাখতে না পারলে করণীয় কী, সে সম্পর্কে জানতে চেয়ে উত্তরা থেকে টেলিফোন করেছেন একজন দর্শক। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : আমার এক বছর বয়সী ছোট একটি বাচ্চা আছে। সে বুকের দুধ খায়। এ জন্য আমি রোজা রাখতে পারছি না। বাসার সবাই রোজা রাখতে নিষেধ করছেন। এ ক্ষেত্রে রোজা না রাখার কারণে আমার পরবর্তী করণীয় কী?
উত্তর : আপনার রোজা রাখার কারণে যদি আপনার শিশুসন্তান বুকের দুধ না পায় বা এ অবস্থায় দুধ পান করালে আপনার ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, আপনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন, সে হিসেবে আহলে এলেম বলেছেন, আপনার এ অবস্থায় আপনি রোজাগুলো রাখবেন না। কিন্তু যখন এই সময়সীমা পার হয়ে যাবে, আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন বা সন্তানের দুধ পান করানো শেষ হয়ে যাবে, তখন নিজের রোজা নিজে কাজা করে দেওয়া, এটাই হলো আহলে এলেমের মত।
শরিয়তে অসুস্থতাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমত, যেগুলো সাময়িক সময়ের জন্য, চিকিৎসা নিলে ভালো হয়ে যাবে। এ ধরনের অসুস্থতার জন্য এখন রোজা রাখবেন না। পরে নিজের রোজা নিজে কাজা করে নেবেন। ফিদিয়া দেবেন না।
আর দ্বিতীয়ত, বার্ধক্য বা জটিল অসুস্থতার কারণে যদি রোজা রাখতে সম্পূর্ণ অক্ষম হয়ে যান, তখন ফিদিয়া দিতে হবে। একটি রেজার পরিবর্তে একজন মিসকিনকে এক বেলা খাওয়াবেন। সেটি অবশ্য আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।