আপনার জিজ্ঞাসা
তওবা কবুল হয়েছে বোঝার উপায় কি?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। শরীফ বায়জীদ মাহমুদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার ৫২৪তম পর্বে তওবা কবুল হয়েছে বোঝার কোনো উপায় আছে কি না, সে সম্পর্কে কুমিল্লা থেকে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন ইমরান। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : তওবা কবুল হয়েছে বোঝার কোনো উপায় আছে কি?
উত্তর : অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন। তওবা কবুল হয়েছে কি না, বোঝার তিনটি আলামত রয়েছে।
প্রথমত, যে অপরাধের জন্য আপনি তওবা করেছেন, সেই অপরাধ থেকে যদি সম্পূর্ণরূপে আল্লাহতায়ালার কাছে প্রত্যাবর্তন করতে পারেন, তাহলে বুঝবেন আপনার তওবা কবুল হয়েছে। আর যদি তওবা করে আবার ওই অপরাধেই পুনরায় লিপ্ত হন, তাহলে বুঝতে হবে আপনার তওবা কবুল হয়নি। এটি হচ্ছে প্রথম পয়েন্ট।
দ্বিতীয়ত, যে ভালো কাজে আপনার অভাব ছিল, তওবা করার পর সেই কাজ বেশি বেশি করতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছ থেকে তওফিক লাভ করবেন। সেই ভালো কাজটি আপনি বেশি বেশি করতে পারবেন।
তৃতীয়ত, আপনি তওবা করার পরে ভালো কাজের মাধ্যমে পূর্বের যেই গুনাহের কাজ আছে, সেগুলোকে সত্যিকার অর্থেই বাদ দিতে পারবেন বা বর্জন করতে পারবেন।
যখন আপনি দেখবেন, বেশি বেশি ভালো কাজ কাজের মাধ্যমে আপনার যে ঘাটতি ছিল, সেটা পূরণ করতে পারছেন, তখনই বুঝতে পারবেন আল্লাহর কাছে সত্যিকার অর্থেই আপনার তওবা গ্রহণযোগ্য হয়েছে, ভালো কাজ করতে পারছেন।
যেমন নামাজকে যদি আমরা উদাহরণ হিসেবে আনি, তাহলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। যে ব্যক্তি আগে নামাজ আদায় করেননি, তিনি যদি এখন থেকে নিয়মিত নামাজ পড়তে থাকেন, তাহলে বুঝতে হবে তাঁর তওবা কবুল হয়েছে। দ্বিতীয় হচ্ছে, তিনি আর কখনোই নামাজ বর্জনের মতো কাজে নিজেকে লিপ্ত করবেন না। তৃতীয় হচ্ছে, যে নামাজগুলো তাঁর হারিয়ে গেছে, সেগুলো যেভাবে পূরণ করা যায় সেভাবেই বেশি বেশি ভালো কাজের মাধ্যমে পূরণ করবেন।