আপনার জিজ্ঞাসা
বাবা-মায়ের কবরের পাশে গিয়ে সন্তানদের সুরা পড়া উচিত?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ২৭১৮তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে কল্যানপুর থেকে শিল্পী জানতে চেয়েছেন, প্রতি সন্তান যদি বাবা-মায়ের কবরের সামনে গিয়ে সুরা ফাতিহা পড়ে তাহলে ৪০ দিনের কবরের আজাব মাফ হবে কি না? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ।
প্রশ্ন : সন্তান যদি বাবা-মায়ের কবরের সামনে গিয়ে সুরা ফাতিহা পড়ে তাহলে কি ৪০ দিনের কবরের আজাব মাফ হবে? বিষয়টি হাদিসের আলোকে জানতে চাই।
উত্তর : এটা হয়তো কোনো ব্যক্তির মন্তব্য হতে পারে। কিন্তু রাসুল (সা.)-এর কোনো হাদিস দ্বারা এটি প্রমাণিত হয়নি। এমনকি আলেমদের কাছ থেকেও এমন কোনো বক্তব্য আসেনি। আমরা পাইনি। কবর জিয়ারত হলো কবরবাসীদের জন্য দোয়া করা। কবরের সবার জন্য দোয়া করা। রাসুল (সা.) কবরের পাশে গিয়ে কোরআন তেলওয়াত করতে বলেছেন বা ফাতিহা পড়তে বলেছেন-এই মর্মে কোনো সহিহ প্রমাণ নেই। এসব নিয়ে আলেমদের মধ্যে অনেক দ্বিমত রয়েছে। তাই কেউ কবরের পাশে গেলে সবার জন্য দোয়া করবেন। সেখানে অতিরিক্ত কোরআন তেলওয়াত বা কিছু করার নেই। ওইখানে গিয়ে কোরআন তেলওয়াত করলে বা সুরা পড়লে এগুলো মৃত ব্যাক্তির কোনো কাজে আসে না। এটা যিনি পড়বেন, তাঁর ব্যক্তিগত ইবাদত। তাই কবরবাসীর কোনো লাভ হবে না। কোরআন পাঠ একান্তই ব্যক্তিগত ইবাদত। আপনি চাইলে সদকা করতে পারেন।