আপনার জিজ্ঞাসা
প্রতারণা করে অফিস কামাই করলে বেতন বৈধ হবে?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ২৬৫৯তম পর্বে মেইলের মাধ্যমে একজন জানতে চেয়েছেন, প্রতারণা করে অফিস কামাই করলে বেতন বৈধ হবে কি না? ইসলাম এ ক্ষেত্রে কী বলে? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ।
প্রশ্ন : করোনাকালে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান এক সপ্তাহ ছুটি দেয়, আবার এক সপ্তাহ ডিউটি দিচ্ছে। আবার একটু হালকা ঠান্ডা লাগলেও ছুটি দিচ্ছে। অনেকে আবার এই সুযোগ অসৎভাবে ব্যবহার করছেন। যেমন—আমার এক প্রতিবেশীর কোনো অসুখ নেই। তিনি দিব্যি পরিবার নিয়ে ঘুরছেন-ফিরছেন। জিজ্ঞাসা করলাম, অফিস বন্ধ কি না? তিনি বললেন, ‘না চালাকি করে বেঁচে আছি। আমার অফিসের স্যার বলেছেন, সামান্য অসুখ হলেও যেন অফিসে না যাই। তাই, স্যারের সামনে কাশি দিলাম। স্যার অসুস্থ ভেবে ছুটি দিয়ে দিলেন।’ আমার প্রশ্ন হলো, এভাবে প্রতারণা করে অফিস কামাই করা কি উচিত? মাস শেষে বেতন কি তাহলে বৈধ হবে?
উত্তর : যেকোনো ধরনের প্রতারণা ইসলামে সবসময় হারাম। আপনার প্রতিবেশী যে কাজটা করেছেন, সেটা সম্পূর্ণ হারাম। তাঁর কাজও হারাম, বেতনও হারাম। তিনি ভয়ংকর কাজ করছেন। উচিত ছিল, ইসলামের দিকনির্দেশনা অনুসরণ করা। তিনি ভেবেছেন, এটা তাঁর চালাকি। কিন্তু তা নয়, তিনি নিজের ক্ষতিই করলেন। পুরো ইনকামটাই তিনি অবৈধ করে ফেললেন। প্রতারণার মাধ্যমে ইনকাম করা সম্পূর্ণ হারাম। আমরা মেধা খাটিয়ে কাজ করব, কাজের বিনিময়ে বেতন নেব—এটাই তো হওয়া উচিত।