আপনার জিজ্ঞাসা
নামাজের মধ্যে দুনিয়ার চিন্তা এলে কী করব?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৯৭তম পর্বে নামাজের মধ্যে দুনিয়ার চিন্তা এলে কী করব, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে মেইলে জানতে চেয়েছেন আসাদুল রহমান। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া।
প্রশ্ন : নামাজরত আবস্থায় দুনিয়ার কথা মাথায় চলে আসে, এ থেকে বাঁচার উপায় কী?
উত্তর : আপনি নামাজের মধ্যে নিজেকে একেবারে সম্পৃক্ত করতে পারেননি, এই জন্য শয়তান আপনাকে বাইরে থেকে ওয়াসওয়াসা দিয়ে দেয়। এই ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার জন্য মূলত তাহারাতকে পরিপূর্ণভাবে আদায় করতে হবে। সালাতের প্রতিটি কাজে ও জিকিরের মধ্যে অন্তরকে পরিপূর্ণরূপে সম্পৃক্ত করতে হবে।
আপনার সব চেষ্টার পরও যদি এ ধরনের দুনিয়ার বিষয় মনের মধ্যে এসে যায়, তাহলে আপনি ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম’ পড়বেন। আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবেন। এরপরও যদি না হয়, তাহলে আপনি বাঁ দিকে তিনবার থুতু দেবেন। রাসুল (সা.) বলেছেন যে, নামাজের মধ্যে ওয়াসওয়াসা দানকারী যে শয়তান আছে, সে মূলত নামাজের মধ্যে বিভিন্ন কুমন্ত্রণা দেওয়ার চেষ্টা করে। এটি করলে এই শয়তান দূরে সরে যাবে।
আপনি যদি নামাজের আজকারগুলোর সঙ্গে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে সম্পৃক্ত করতে পারেন, তাহলে শয়তান আপনাকে ওয়াসওয়াসা দিতে পারবে না। নামাজের মধ্যে যদি আপনি খালি জায়গা রাখেন, তাহলে শয়তান আপনাকে ওয়াসওয়াসা দেবে। আমরা দুভাবে খালি জায়গা রাখি। একটি হলো, নামাজের মধ্যে আমরা একে অপরের সঙ্গে লেগে দাঁড়াই না। মাঝখানে শয়তান ঢোকার জন্য আমরা জায়গা রেখে দিই। নবী (সা.)-এর তরিকা হলো সালাতে মিশে দাঁড়ানো।
আরেকটি হলো, যেসব সালাতের মধ্যে ইমাম সাহেব নীরবে বা আওয়াজ করে কেরাত পড়েন, প্রত্যেকটা অবস্থায় দেখা যায় যে আমরা শুধু দাঁড়িয়ে থাকি, আমরা আল্লাহর জিকির থেকে নিজেদের বিরত রাখি। ফলে শয়তান আপনাকে ওয়াসওয়াসা দেওয়ার চেষ্টা করে। এখানেও খালি স্থান রয়েছে। যেকোনো খালি স্থান থাকলে শয়তান আপনাকে ওয়াসওয়াসা দেবে। জিকিরের মধ্যে যদি আপনি মনোযোগ দেন, তাহলে শয়তান আপনার মনের মধ্যে দুনিয়ার চিন্তা ঢোকাতে পারবে না।