আপনার জিজ্ঞাসা
দিবস পালন করা কি শিরক?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ২৪৪৯তম পর্বে দিবস পালন করা শিরক কি না, সে বিষয়ে মেইলে জানতে চেয়েছেন শাহরুখ হোসেন তন্ময়। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া।
প্রশ্ন : দিবস পালন করা কি শিরক? যেমন : পয়লা বৈশাখ, ভালোবাসা দিবস, থার্টিফার্স্ট নাইট, জন্মদিন, মৃত্যুদিন ইত্যাদি। এগুলো পালন করলে কি কেউ কাফের হয়ে যাবে?
উত্তর : দিবস পালন করার বিষয়টি শিরক বা কুফরি নয়। এর মাধ্যমে আল্লাহর হকের কোনো ক্ষতি সাধন হয় না। ফলে এগুলোকে শিরক বা কুফরি বলার কোনো সুযোগ নেই।
দ্বিতীয় মাসয়ালা হলো, সব দিবস এক রকম নয়। তৃতীয় পয়েন্ট হলো, যদি কোনো দিবস এমন হয়ে থাকে, যে দিবসগুলো পালন করার মধ্যে অমুসলিমদের সঙ্গে বা ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো কালচার, সংস্কৃতি, সভ্যতা অথবা অন্য কোনো জীবন বিধানের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বা অন্য কোনো সম্পর্ক থাকে, তাহলে এ ধরনের দিবস পালন করা ইসলামী শরিয়তের মধ্যে হারাম। ইসলামে এই দিবসগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। যেমন : থার্টিফার্স্ট নাইটের কথা আপনি বলেছেন। এটি ভিন্ন কালচার ছাড়া আর কিছুই নয়। যেটা পারস্য সভ্যতা থেকে আমদানি হয়েছে। রাসুল (সা.)-এর সময় এ ধরনের একটি দিবসও পালিত হতো না। নবী করিম (সা.), সাহাবা, সলফে সালেহিন এটাকে কঠিনভাবে নিষেধ করেছেন।
কিছু দিবস রয়েছে, যেগুলো মানুষকে সচেতন করার জন্য বা সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে মেসেজ দেওয়ার জন্য পালন করা হয়ে থাকে। তবে ইবাদতের কোনো ফরম্যাট এর মধ্যে থাকতে পারবে না, তাহলে এই কাজটি বেদাত হয়ে যাবে।
ইমানদার ব্যক্তিগণ বেহুদা কাজ থেকে নিজেদের দূরে রাখবেন। এসব কাজে সময় নষ্ট করার সামান্যতম কোনো সুযোগ তাঁদের নেই। রাসুল (সা.) হাদিসের মধ্যে বলেছেন, ‘একজন মুসলিমের প্রকৃত সৌন্দর্য হচ্ছে সেখানেই, সে এমন কাজ পরিহার করে চলবে, যেটা তার জন্য অপ্রয়োজনীয়।’