জমা নামাজ কোন কোন ক্ষেত্রে পড়া যাবে?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ২৭৮৪তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে অদ্রিতা আহসান জানতে চেয়েছেন, জমা নামাজ কোন কোন ক্ষেত্রে পড়া যাবে? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ।
প্রশ্ন : জমা নামাজ কোন কোন ক্ষেত্রে পড়া যাবে? কোথাও বেড়াতে গিয়ে যদি নামাজ পড়ার সুযোগ না থাকে, তখন সেটা পরে পড়া যাবে, না-কি যেভাবেই হোক ওখানেই পড়তে হবে?
উত্তর : ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নের জন্য। এটি একটি বিশদ আলোচনা। কোথাও আপনি বেড়াতে গেলেন, সেখানে কোথাও নামাজ পড়ার সুযোগ নেই। তখন জায়েজ আছে জোহর-আসর কিংবা অন্য নামাজ জমা রেখে পরে সেটা আদায় করতে হবে। যেহেতু আপনার সুযোগ নেই পড়ার, সে অবস্থায় আপনি পারবেন জমা করতে। তবে, আপনার পড়ার সুযোগ রয়েছে, কিন্তু আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে জমা করছেন, তখন আপনার গুনাহ হবে। সুযোগ থাকলে আপনার পড়তে হবে। আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, সালাত ওয়াক্ত মতো আদায় করতে হবে। রাসুল (সা.)-কে একবার প্রশ্ন করা হয়েছে—কোন কাজটি আল্লাহর কাছে প্রিয়? তখন তিনি উত্তরে বলেছেন, ওয়াক্ত মতো আদায় করা প্রিয় কাজ। তাই সালাত দেরি করলে আপনার গুনাহ হবে। আপনি জোহর ও আসর জমা করতে পারবেন। আবার মাগরিব ও এশা জমাতে পারবেন। এখানেও নিয়ম-নীতি রয়েছে।