আপনার জিজ্ঞাসা
কোরআন শরিফ কোন কোন সময় তিলাওয়াত করা যায় না?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ২৪১১তম পর্বে কোরআন শরিফ কোন কোন সময় তিলাওয়াত করা যায় না, সে বিষয়ে আমেরিকা থেকে মেইলে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া।
প্রশ্ন : কোরআন শরিফ কোন কোন সময় তিলাওয়াত করা যায় না?
উত্তর : হায়েজ, অর্থাৎ পিরিয়ড অবস্থায় আর যে অবস্থায় গোসল ফরজ হয়েছে, এ দুটি অবস্থায় কোরআন তিলাওয়াত করবেন কি করবেন না, এ নিয়ে আলেমদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। হায়েজ অবস্থায় কোরআন স্পর্শ করে তিলাওয়াত করা এবং কোরআন মুখস্থ করে তিলাওয়াত করা দুটি ভিন্ন মাসয়ালা। অধিকাংশ ওলামায়ে কেরামের বক্তব্য হচ্ছে, এ অবস্থায় তিনি কোরআন তিলাওয়াত এবং স্পর্শ করবেন না।
কিন্তু একদল ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, তিনি কোরআন তিলাওয়াত করতে পারবেন। তিনি যদি কোরআনের হাফেজ হন বা কোরআনের তালিম দিয়ে থাকেন, তাহলে সে অবস্থায় তিনি কোরআন স্পর্শ না করে তিলাওয়াত করতে পারবেন, শিক্ষা দিতে পারবেন।
কোরআন স্পর্শ করতে পারবেন কিনা—এই মাসয়ালা নিয়ে দুটি অভিমত রয়েছে। একদল ওলামায়ে কেরাম বলেছেন যে স্পর্শ করতে পারবেন। তবে অধিকাংশ ওলামায়ে কেরামের বক্তব্য হলো স্পর্শ করতে পারবেন না, এটাই হলো বিশুদ্ধ বক্তব্য। কিন্তু একদল ওলামায়ে কেরাম বলেছেন যে স্পর্শ করতে পারবেন, কারণ এই মর্মে রাসুল (সা.)-এর সুস্পষ্ট কোনো দলিল সহিহ বর্ণনার মাধ্যমে সাব্যস্ত হয়নি। যে রেওয়াতটি উল্লেখ করা হয়ে থাকে সেটি হলো, রাসুল (সা.) লিখেছেন এবং প্রমাণিত হয়েছে যে, পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া এটি কেউ স্পর্শ করতে পারবে না। তবে মূল কথা হলো, যদি কোনো প্রয়োজন দেখা দেয়, তাহলে স্পর্শ করা নিষেধ নয়। তবে প্রয়োজন দেখা না দিলে কোরআনুল কারিমের আদবের জন্য তিনি এটা স্পর্শ করবেন না।
যে ব্যক্তির ওপর গোসল ফরজ হয়েছে, সেই ব্যক্তি কোরআনুল কারিমের তিলাওয়াত করতে পারবে। এটা অধিকাংশ ওলামায়ে কেরামের বক্তব্য। কিন্তু কোরআন স্পর্শ করার ক্ষেত্রে দুটি বক্তব্য রয়েছে। অধিকাংশ ওলামায়ে কেরামের বক্তব্য হচ্ছে, কোরআন স্পর্শ করবে না।