আপনার জিজ্ঞাসা
ফরজ ও সুন্নত নামাজের শেষে কি নফল নামাজ আদায় করা যাবে?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ২৫৩২তম পর্বে ফরজ ও সুন্নত নামাজের শেষে নফল নামাজ আদায় করা যাবে কি না, সে বিষয়ে মেইলে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া।
প্রশ্ন : প্রত্যেক ওয়াক্তে ফরজ এবং সুন্নত নামাজের শেষে কি নফল নামাজ আদায় করা যাবে?
উত্তর : আসরের নামাজের পরে নফল সালাত পড়তে রাসুল (সা.) নিষেধ করেছেন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত রাসুল (সা.) সালাত থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া যে নফল আছে, সেগুলো পড়তে রাসুল (সা.) নিষেধ করেছেন। আবার ফজরের নামাজের পরে সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত রাসুল (সা.) নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া নফল সালাত পড়তে নিষেধ করেছেন। জোহরের পরে, মাগরিব ও এশার মাঝামাঝি সময়ে আপনি বেশি বেশি নফল সালাত পড়তে পারেন। রাসুল (সা.)-সহ আরো অনেকে এই সময়ে সালাত আদায় করতেন, সহিহ সনদ দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে।
একদল ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তনকারী যে বান্দা রয়েছে, যারা সত্যিকার তওবা, অনুরাগ, ভালোবাসা এবং আন্তরিকতার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তন করতে পেরেছেন, তারা এই সময়ে নফল সালাতে মগ্ন থাকতেন। কেউ কেউ বলেছেন, এটা সালাত আদায় করার জন্য উত্তম সময়।
জোহর থেকে শুরু করে আসর পর্যন্ত, এই সময়ে আপনি সালাত আদায় করতে পারেন। কিন্তু, নবী (সা.) অথবা সাহাবা কেরামদের আমল দ্বারা অতিরিক্ত নফল সালাত আদায় করা এই সময়ে সাব্যস্ত হয়নি। এর কারণ হলো এই সময় একটু আরামের সময়।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, রাসুল (সা.) দিনের চেয়ে রাতের সালাতকে বেশি প্রাধান্য দিতেন। এর দুটি কারণ আছে। একটি হলো, রাতের সালাত অত্যন্ত এখলাস নির্ভর হয়ে থাকে। একাকীত্ব ও মনোযোগ বেশি থাকে। দিনে নানা কারণে এত মনোযোগ দেওয়া যায় না। আর দ্বিতীয় কারণ হলো, রাতের ইবাদত অন্তরের ওপর বড় ধরনের প্রভাব বিস্তার করে।