আপনার জিজ্ঞাসা
নামাজ কাজা হলে কী করব?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ৬০৩তম পর্বে কোনো কারণে নামাজ কাজা হলে কী করব, সে বিষয়ে নওগাঁ থেকে টেলিফোনের মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন মো. বিপ্লব হোসেন। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া।
প্রশ্ন : আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। হয়তো কোনো কারণে নামাজ কাজা হয়ে গেল, পরে কি সেটা পড়া যাবে? যেমন জোহরের কাজা নামাজ কি আসরের সময় পড়া যাবে?
উত্তর : সালাত কোনোভাবেই কাজা হয় না। যদি কোনো কারণে আপনি সালাত আদায় করতে না পারেন, সেটা যেকোনো ওজরের জন্য হতে পারে। ব্যস্ততা, ঘুম বা ভুলে যাওয়ার জন্য হতে পারে। এমনভাবে ব্যস্ত হয়ে গেছেন যে সালাতের কথা আপনার মনে ছিল না। যদি এমন হয়ে থাকে তবে যখনই সময় পাবেন, তখনই সালাত আদায় করে নেবেন, ওয়াক্ত থাকুক আর না থাকুক, সালাত আদায় করে নেবেন।
রাসুল (সা.) বলেছেন, যদি তোমাদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি সালাত আদায় করা ভুলে যায়, যখনই তার মনে পড়বে তখনই যেন সে সালাত আদায় করে নেয়। বান্দাদের মানবিক দুর্বলতার কারণে আল্লাহ এটাকে সহজ করে দিয়েছেন। সালাত কখনো কাজা হবে না।
যখন আপনি সালাত সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত কাজা করেছেন, সালাত আদায় করেননি, তাহলে আপনি কবিরা গুনাহ করলেন। এই কাজটি ইচ্ছাকৃতভাবে করার কারণে আপনি কুফরিতে লিপ্ত হলেন। তখন আপনার জন্য ওয়াজিব হলো, আপনি আল্লাহ রব্বুল আলামিনের কাছে তওবা করে ওই সালাতটি যখনই সুযোগ পাবেন, তখনই আদায় করে নেবেন। কারণ, এই কাজটি কবিরা গুনাহ। একদল ওলামায়ে কেরাম বলেছেন যে, ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত কাজা করলে ওই সালাত যতক্ষণ পর্যন্ত আদায় করবেন না, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি কুফরিতে লিপ্ত থাকবেন। তাঁর সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই ইমানদার ব্যক্তির ওপর ওয়াজিব হচ্ছে, তিনি তওবা করে সেই সালাতটি আদায় করে নেবেন।