আপনার জিজ্ঞাসা
কোরআনের বাংলা অনুবাদ পড়লে কি কোরআন খতমের সওয়াব পাব?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৭৩তম পর্বে কোরআনের বাংলা অনুবাদ পড়লে কোরআন খতমের সওয়াব পাওয়া যাবে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা থেকে মেইলে জানতে চেয়েছেন রিমি চৌধুরি। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া।
প্রশ্ন : রমজান মাসে কোরআন শরিফের বাংলা অনুবাদ বা অর্থ পড়লে কি কোরআন খতম হবে? কারণ আমি কোরআনের কিছু বড় বড় সুরা দেখে দেখে পড়তে পারি, কিন্তু পুরো কোরআন শরিফ পড়তে পারি না। অনুবাদ পড়লে কি কোরআন খতমের সওয়াব পাব?
উত্তর : কোরআন শরিফের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করাকে কোরআন খতম বলা হয়ে থাকে। কোরআন শরিফ খতমের যে সওয়াব আছে সেটা কালামুল্লাহ বা আল্লাহর কালাম তিলাওয়াত করে শেষ করার মাধ্যমে পাবেন। কোরআন খতম বলতে মূলত আমরা এটাই বুঝি।
প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কোরআনের অর্থের তিলাওয়াত করাকে খতম বলা হয় না। যদি আপনি কোরআনের অর্থ তিলাওয়াত করেন বা অর্থ বোঝেন, তাহলে এর জন্য আপনি সওয়াব পাবেন। এটাকে খতম বলা হবে না। এটাকে অনুবাদ বলা হয়। কারণ কালামুল্লাহর বা আল্লাহর কালামের মূল টেক্সট হলো আরবি এবং আল্লাহ যে কথাগুলো বলেছেন সেগুলো সবটাই বর্ণনা করা হয়েছে আরবিতে। তাই আরবিতে তিলাওয়াত করলে এর ফজিলত পাওয়া যাবে।
সালাতের মধ্যে যদি কেউ কোরআনুল কারিম তিলাওয়াত করেন, তখন তিনি টেক্সট থেকে করবেন। রাসুল (সা.) যখন কোনো ফজিলতের বিষয় বর্ণনা করেছেন তখন কোরআনের টেক্সটগুলোর কথা বলেছেন, আবার সাহাবা কেরামকে রাসুল (সা.) কোরআনের টেক্সট থেকে তিলাওয়াতের নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি আল্লাহ রাসুল (সা.)-কে কোরআনের টেক্সট থেকে তিলাওয়াতের নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং কোরআনের টেক্সট তিলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা হয়ে থাকে।