আপনার জিজ্ঞাসা
ওমরাহ কাদের ওপর ফরজ?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ২৩৭৯তম পর্বে ওমরাহ কাদের ওপর ফরজ, সে বিষয়ে যশোর থেকে চিঠির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন নাজমা আকতার। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া।
প্রশ্ন : ধনীদের জন্য হজ ফরজ। ওমরাহ কাদের জন্য ফরজ এবং এর ফজিলত কী?
উত্তর : ধনীদের জন্য যেমনভাবে হজ ফরজ, ঠিক তেমনভাবে ধনীদের ওপর ওমরাহও ফরজ বা ওয়াজিব। ব্যক্তিগত খরচ মেটানোর পর যদি আল্লাহর ঘরে পৌঁছানো পর্যন্ত তাঁর সামর্থ্য থাকে, তাহলে তাঁর ওপর হজ ও ওমরাহ দুটাই ফরজ। আল্লাহ কোরআনের মধ্যে এরশাদ করেন, তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ ও ওমরাহ সম্পূর্ণ করো। হজ ও ওমরাহ আল্লাহর নির্দেশনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
ওমরাহর ফজিলতের বিষয়ে রাসুল (সা.)-এর একাধিক হাদিস রয়েছে। সহিহ বুখারি হাদিসের মধ্যে রাসুল (সা.) বলেছেন, এক ওমরাহ থেকে আরেক ওমরাহ এ দুই সময়ের মধ্যবর্তী যে সময় রয়েছে, এই মধ্যবর্তী সময়ে আল্লাহর বান্দা যদি কোনো ধরনের গুনাহের কাজ বা সগিরা গুনাহের কাজে লিপ্ত হয়ে থাকে, তাহলে আল্লাহতায়ালা তার সব গুনাহ মুছে দেবেন, ক্ষমা করে দেবেন। সুতরাং, ওমরাহ হলো এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যার জন্য আল্লাহ বান্দাদের সমস্ত গুনাহ মুছে দেন।
রাসুল (সা.) একাধিকবার ওমরাহ করেছেন এবং ওমরাহ করতে উৎসাহিত করেছেন। রাসুল (সা.) বিদায় হজের সঙ্গে ওমরাহ পালন করেছেন। এ থেকে বোঝা যায় যে এটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। অধিকাংশ ওলামায়ে কেরাম ওমরাহকে ছোট হজ বলেছেন। এর মাধ্যমে বান্দারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারবে।