মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের জয়গান
বাংলাদেশের মানচিত্র, স্বাধীনতার ইতিহাসসংবলিত লেখা, লালনের ছবি, নকশিকাঁথা, রিকশা, পালকি—সবই ছিল। দেশীয় খাবারের সমাহারও দেখা গেছে। প্রথম দর্শনে মনে হতে পারে, এটি বাংলাদেশের কোনো মেলা। আদতে কিন্তু তা নয়।
উল্লিখিত দৃশ্যপট মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে (আইআইইউএম) আয়োজিত ‘উম্মাটিক ফেস্টিভাল’-এর। সেখানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা তুলে ধরেছিলেন বাংলাদেশের সংস্কৃতির বিভিন্ন অনুষঙ্গ।
গত ২৪ নভেম্বর থেকে আইআইইউএমে শুরু হয়েছে উম্মাটিক ফেস্টিভাল। চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এতে অংশ নিয়েছেন ১০০টির বেশি দেশের শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিনই চলছে বিভিন্ন দেশের পরিবেশনা।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারাল অ্যাক্টিভিটি সেন্টারে (সিএসি) শুরু হয় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পরিবেশিত হয় বাংলাদেশের ওপর নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্যের একটি প্রামাণ্যচিত্র। বাংলাদেশের হয়ে এবারের উৎসবে ১৮ জনের একটি দল নৃত্য পরিবেশনা করে। এতে দেশের গান ও আধুনিক গানের তালে এবং বিভিন্ন পোশাক পরে নাচ পরিবেশনা করেন শিক্ষার্থীরা। পরিবেশনা শেষে তাঁরা মানব স্মৃতিসৌধ তৈরি করেন। ওই সময় গ্যালারি থেকে হাজারো দর্শকের হাততালি ও ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ চিৎকারে পুরো হল মুখরিত হচ্ছিল ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্টল পরিদর্শনকারীদের দেশীয় খাবার ও মিষ্টান্ন খেতে দেওয়া হয়। বাংলাদেশি ছাত্রীরা বিদেশি মেয়েদের হাতে মেহেদি দিয়ে দেন। এ ছাড়া স্টলে আসা দর্শকদের বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর এবং দেশের সংক্ষিপ্ত পরিচয় উপস্থাপন করেন স্টলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠান দেখতে হাজির হয়েছিলেন ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ার (ইউকেএম) পিএইচডি শিক্ষার্থী মাহফুজুল ইসলাম। তিনি এনটিভিকে বলেন, ‘এককথায় আমি অভিভূত। এখানে ১০০টির বেশি দেশের সামনে আমাদের বাংলাদেশ ও বাংলা সংস্কৃতি সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য পারফর্মারদের অভিনন্দন। বিশেষ করে পারফর্মের শেষে মানব স্মৃতিসৌধটি অসাধারণ ছিল।’
আইআইইউএমের বিবিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদ খালিদ এনটিভিকে বলেন, ‘বাংলাদেশ কমিউনিটি বিদেশের মাটিতে দেশকে তুলে ধরার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমরা খুবই আনন্দিত এবং উচ্ছ্বসিত। বাংলাদেশকে তুলে ধরার জন্য আমরাও এ ক্ষুদ্র চেষ্টা করেছি।’