বার্ক লেক পার্ক, ফেয়ারফ্যাক্স ভার্জিনিয়ায় গত ২৭ জুলাই শনিবার ভার্জিনিয়ার অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি (বাগডিসি)’ বার্ষিক বনভোজন আয়োজন করেছিল। প্রচণ্ড দাবদাহ উপেক্ষা করে দিনব্যাপী আয়োজিত এ অনুষ্ঠান প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বতঃস্ফূর্ত পদচারণায় মুখর ছিল। অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে বাগডিসির বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সর্বস্তরের নেতা-নেত্রীরা অনুষ্ঠানটি ব্যবস্থাপনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

মধ্যাহ্নভোজে রাখা হয় দেশীয় মুখরোচক খাবার। মেট্রো ওয়াশিংটনে বাগডিসি একটি প্রাচীন, দক্ষ ও বৃহৎ সংগঠন হওয়ার সুবাদে খাবার পরিবেশনায় শৃঙ্খলা ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা পরিলক্ষিত হয়। ৫০০ থেকে ৭০০ লোকের সমাগমে অনুষ্ঠানস্থল যেন প্রবাসের মাটিতে এক টুকরো বাংলাদেশে পরিণত হয়ে উঠেছিল।

গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসির বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি, সম্মানিত ব্যক্তিত্ব, লেখক, কবি-সাহিত্যিক, সম্পাদক ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন এ অনুষ্ঠানে। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাগডিসির সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক হাসনাত সানি ও সহসম্পাদক সময় সুমন। ওয়াশিংটন ডিসির স্থানীয় শিল্পী অসীম বড়ুয়া, আসিফ চৌধুরী, তুষার রহমান, আনসার আহমেদ ছাড়াও বাংলাদেশের প্রখ্যাত লোকসংগীতশিল্পী মরিওম মারিয়া আগত অতিথিদের গানে গানে মাতিয়ে রাখেন। এ সময় গিটারে ছিলেন শুভ্র হাসান, অক্টাপ্যাডে নাফিস ফারহান, তবলায় আশীষ বড়ুয়া ও আবু রুমি পিয়ানো একোডিয়ান বাজিয়ে সহযোগিতা করেন। এরপর বিভিন্ন খেলাধুলার পুরস্কার ও র‍্যাফেল ড্রর পুরস্কার বিতরণ করা হয়। র‍্যাফেল ড্রতে ৫৫ ইঞ্চি রঙিন টেলিভিশন, ল্যাপটপ ও আইপ্যাড পুরস্কার দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে  স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য বাগডিসির প্রেসিডেন্ট করিম সালাহউদ্দিন ও সেক্রেটারি আবু বকর সরকার আগত অতিথিদের ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠান আয়োজনে ছিলেন বাগডিসির ভাইস প্রেসিডেন্ট রোকসানা পারভীন, নুরুল আমিন নুরু, নাসের আহমেদ, কচি খান, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ রশিদ, ট্রেজারার নুসরাত জাহান, অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেজারার তিলক কর, কালচারাল সেক্রেটারি হাসনাত সানি, অ্যাসিস্ট্যান্ট কালচারাল সেক্রেটারি সময় সুমন, প্রেস ও পাবলিকশনস সেক্রেটারি আকাশ রাইস, এক্সিকিউটিভ মেম্বার এ টি এম আলম, আবু রুমি, পিংকি পাটোয়ারী, শারিকুল ইসলাম, প্রণব বড়ুয়া, জাহিদ হাসান স্বপন, গাজী শাহজাহান খোকন, মো. কাজল ও জনাব সেলিম। ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, মঞ্চসজ্জা ও তত্ত্বাবধানে বাগডিসির ভাইস প্রেসিডেন্ট কচি খান বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।