২ মার্চের স্মৃতি
ছাত্রনেতার হাতে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন
বুলেটের আঘাতে আঘাতপ্রাপ্ত একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার শরীর থেকে এক ফোঁটা রক্ত ছিটকে পড়ল সবুজ ঘাসের ওপর। এ যেন আমার পতাকার এক বাস্তব চিত্র, সবুজ ঘাসের ওপর লাল রক্ত। সঙ্গে সঙ্গে পাশে থাকা রণাঙ্গনের যোদ্ধারা শির উঁচু করে দাঁড়িয়ে পিছু নিল হানাদারদের। সবার শরীরের পশমগুলো কাঁটা দিয়ে উঠল। নেচে উঠল মন। শরীরে উত্তেজনা। আজ আর রেহাই নাই। এবার শুধু সামনে এগিয়ে চলা। জীবন বাজি রেখে মাতৃভূমিকে বাঁচিয়ে রাখার নিরন্তর এ প্রচেষ্টা। এ প্রচেষ্টায় সর্বশেষ সফল হলেও কম মূল্য দিতে হয়নি! হারিয়েছে তাজা প্রাণ, ঝরেছে রক্তধারা। সব মিলিয়ে আমাদের স্বাধীনতা। আমাদের গর্ব।
নয় মাসের এ দীর্ঘ সময়ে মুক্তিকামী জনগণ পেয়েছে স্বাধীন দেশ আর এক টুকরো কাপড়। লাল-সবুজের এ কাপড়ই আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় সবুজ ঘাসের ওপর ছিটকে পড়া যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার সেই করুণ কাহিনী।
এখন যেকোনো উৎসবকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় একটি লোগো। অফিশিয়ালি তার মোড়কও উন্মোচন করা হয়। পৃথিবীর প্রতিটি দেশ, সংগঠন কিংবা কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেরও একটি লোগো থাকে। এটি দেখলে সহজেই পরিচয় পাওয়া যায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে থেকেই এ দেশের ছাত্র-জনতা এমন একটি প্রতীক খুঁজতে থাকে। স্বাধীনতাকামী এ দেশের জনগণের পাকিস্তানি চাঁদ-তারা প্রতীক সহ্য হচ্ছিল না। তাই তো রাঙিয়ে নিল লাল-সবুজের পতাকা। কে জানে, এই পতাকাই আমাদের লোগো ছিল কি না! একটি দেশের পতাকা সে দেশের ধারক ও বাহক। পতাকার সঙ্গে দেশের জনগণের জড়িয়ে থাকে অনেক স্বপ্ন, অনেক আবেগ। এটি একটি চেতনার নাম। দেশের মানুষ এ পতাকার মধ্যে তার নিজের পরিচয় খুঁজে পায়। জাতীয় পতাকার অসম্মান কেউ মেনে নিতে পারে না। বর্তমানে যে পতাকা আমরা ব্যবহার করছি, তার ইতিহাসের দিকে তাকালে ২ মার্চের কথা সামনে চলে আসে।
১ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে ১৯৭১ সালের ২ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের ভূখণ্ডে উত্তোলন করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ আর নিপীড়নের বিরুদ্ধে তৎকালীন ডাকসু নেতাদের উদ্যোগে সেদিন সাড়া দিয়েছিলেন আমজনতা। সেদিনের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের বীজ বোনা হয়েছিল। উন্মোচিত হয়েছিল স্বাধীনতার লোগো, যা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় পরিণত হয়ে আজো এ দেশের হাজারও মানুষকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
কারফিউ ভেঙে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ জড়ো হতে থাকেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে ছাত্র-জনতার বিশাল সমাবেশে তৎকালীন ডাকসু ভিপি আ স ম আবদুর রব যখন বক্তৃতা করছিলেন, তখন নগর ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান একটি পতাকা হাতে মিছিল নিয়ে রোকেয়া হলের দিক থেকে মঞ্চের সামনে এগিয়ে এলে আ স ম আবদুর রব পতাকাটি হাতে নিয়ে ওপরে তুলে ধরেন। ডাকসু নেতারাসহ উত্তোলন করেন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা।
বাইরে পাকিস্তানি সাঁজোয়া ট্যাংক আর বন্দুকের নল তাক করার তর্জন-গর্জন উপেক্ষা করে ছাত্রসমাজের প্রাণের দাবির বহিঃপ্রকাশ হিসেবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলন করেছিলেন তিনি। এ পতাকা উত্তোলন নিছক এক বাহাদুরি কিংবা কেবল পতাকা উত্তোলনের আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। এ ছিল দীর্ঘ পরিকল্পনা, সুবিন্যস্ত এক সুদূর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ স্বাধীন করার বৈপ্লবিক এক পরিকল্পনার অংশ। যে ঘটনার পর সমগ্র পাকিস্তানে জান্তা সরকার আ স ম আবদুর রবকে বিদ্রোহী আখ্যা দেয় এবং তার মাথার মূল্য লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে।
পতাকা উত্তোলনের পর সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা জয় বাংলা স্লোগানে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত হয়। সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়েই বইতে শুরু করেছিল মুক্তির সুবাতাস। ১৯৭১ সালে এই পতাকা আমাদের ভূখণ্ড ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী আমাদের পরিচিতি তুলে ধরেছিল। অকুতোভয় ছাত্রসমাজ ও জনতা পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জানিয়ে দিল, তাদের কাছে মাথা নত করবে না।
একটু পেছনের ইতিহাসের দিকে লক্ষ করলে আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে, স্বাধীনতা যুদ্ধের লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানের এ প্রক্রিয়ায় ছাত্রসমাজের বিশেষ ভূমিকা। ছাত্রদের উদ্যোগে নিউক্লিয়াস নামে এক সংগঠনের জন্ম নেয়। সময়টা মুক্তিযুদ্ধের নয় বছর আগে, ১৯৬২ সাল। দুই অংশের মধ্যে এক হাজার ২০০ মাইলের দূরত্ব সত্ত্বে শুধু ধর্মের ভিত্তিতে ইসলামী রাষ্ট্র পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পার হয়ে গেছে ততদিন। কিন্তু যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এ দেশের মানুষ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেমেছিল, স্বাধীনতাপ্রাপ্তির বছর না পেরোতেই সব ধূলিসাৎ হয়ে যায়। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর একের পর এক চরম বৈষম্যমূলক আচরণ সবারই জানা। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বুঝতে পারে, এর থেকে পরিত্রাণের একমাত্র রাস্তা হচ্ছে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। আর এ লক্ষ্যেই দুর্দান্ত প্রতাপশালী শাসক স্বঘোষিত ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের মার্শাল ল-বিরোধী আন্দোলনের সময় থেকেই পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে একটা ছোট্ট গ্রুপ বাঙালির জাতীয় রাষ্ট্র স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। তিনজনের সেই গ্রুপে ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল আলম খান, ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক এবং কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ নেতা কাজী আরেফ আহমেদ।
১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বরে এই তিন ছাত্রলীগ নেতার উদ্যোগে গঠিত হয় 'নিউক্লিয়াস' নামে গোপন সংগঠনটি, যা 'স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ' নামেও পরিচিত। প্রকাশ্যে এই নিউক্লিয়াসের কোনো কর্মকাণ্ড ছিল না। তবে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের প্রাথমিক পর্যায়ে বাঙালি জাতিসত্তার উন্মেষ ঘটিয়ে প্রচারধর্মী আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগকে বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ একটি প্রগতিশীল সংগঠনে রূপান্তর করে তারই ছত্রছায়ায় বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী কর্মী সৃষ্টি করে বাংলার ন্যায়সংগত দাবি-দাওয়াভিত্তিক আন্দোলনকে ধাপে ধাপে বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনে রূপান্তর করাই ছিল নিউক্লিয়াস বা স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদের লক্ষ্য। নিউক্লিয়াসের বুদ্ধিভিত্তিক এই আন্দোলনে পতাকার যে ধারণা ছিল, তা একদিন বাস্তবে রূপ নেয়।
১৯৭০ সালের ৬ জুন রাতে ইকবাল হলের (সার্জেন্ট জহরুল হক হল) ১১৬ নম্বর রুমে ছাত্রনেতা আ স ম আবদুর রব পতাকা তৈরির কথা শাহজাহান সিরাজ ও মনিরুল ইসলামকে (মার্শাল মণি) ডেকে জানান। জয় বাংলা বাহিনীর এই পতাকাই অদূর ভবিষ্যতে বাঙালি জাতীয় রাষ্ট্র বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পতাকার সম্মান লাভ করবে, এমন ধারণাও দেন তিনি।
ওই রুমেই, অর্থাৎ ইকবাল হলের (সার্জেন্ট জহরুল হক হল) ১১৬ নম্বর রুমে শুরু হলো পতাকা বানানোর প্রক্রিয়া। আ স ম আবদুর রব ও মনিরুল ইসলাম মণি (মার্শাল মণি) বললেন, পতাকার জমিনটা হবে ব্যাটল গ্রিন। শাহজাহান সিরাজ বললেন রক্ত লাল একটা কিছু যেন থাকে পতাকায়। কাজী আরেফ আহমদ তখন গাঢ় সবুজ জমিনের মাঝখানে গোলাকার লাল রঙের উদিত সূর্য এঁকে সবাইকে দেখান। সে সময় পাকিস্তানি সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করতে বা যুক্ত বাংলা নামে এক কাল্পনিক রাষ্ট্রের প্রচার চালাচ্ছিল। তাই কাজী আরেফ বললেন, পতাকার মাঝখানে রক্ত লাল প্রভাত সূর্যের মাঝে সোনালি রঙের (পাটের রং সোনালি এবং পাকা ধানক্ষেতের রংও সোনালি) পূর্ব বাংলা তথা বাংলাদেশের মানচিত্র আঁকা থাকবে। পতাকায় ভূখণ্ডের মানচিত্র সুনির্দিষ্টভাবে থাকলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা সম্ভব হবে না পাকিস্তানি সরকারের পক্ষে। সকলে একমত হলেন। ঠিক হয়ে গেল পতাকার রং, নকশা এবং থিম।
কাপড় সংগ্রহ ও সেলাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হলো হাসানুল হক ইনু ও কামরুল আলম খান খসরুকে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিউমার্কেট এলাকার বলাকা বিল্ডিংয়ে ছাত্রলীগের অফিসসংলগ্ন নিউ পাক ফ্যাশন টেইলার্সে গিয়ে কাপড়ের পরিমাণ জেনে নিলেন তাঁরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিউমার্কেট থেকে নিয়ে এলেন লেডি হ্যামিল্টন কাপড়। ১২টার দিকে কলাপসিবল গেট বন্ধ করে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে পতাকা সেলাই করে দিলেন পাক ফ্যাশনের আবদুল খালেক ও নাসিরুল্লাহ। কারণ, পাকিস্তানি আইনে এই কাজ ছিল রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। রাত ৩টার দিকে বানানো হয়ে যায় দুটি পতাকা।
পতাকা নিয়ে হাসানুল হক ইনু ও কামরুল আলম খান খসরু ফিরে এলেন ইকবাল (সার্জেন্ট জহরুল হক হল) হলে। তখনো মানচিত্র বসানো বাকি। সিদ্ধান্ত হলো, পূর্ব পাকিস্তানের মানচিত্র লাল বৃত্তের মাঝে রং দিয়ে আঁকা হবে। এসব করতে করতে রাত প্রায় শেষ। বলাকা ভবনে ছাত্রলীগ অফিস হওয়ায় নিউমার্কেট কাঁচাবাজারসংলগ্ন এক আর্টিস্টের দোকান থেকে তাঁকে ডেকে সংগ্রহ করা হলো সোনালি রং ও তুলি। এদিকে, হাসানুল হক ইনু ছাত্রলীগের একজনকে সঙ্গে নিয়ে গেলেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন জিন্নাহ হলের (বর্তমানে তিতুমীর হল) এনামুল হকের (ইনু সাহেবের কাজিন) ৪০৮ নম্বর কক্ষে। তার কাছ থেকে অ্যাটলাস নিয়ে ট্রেসিং পেপারে পূর্ব পাকিস্তানের মানচিত্র এঁকে আনলেন ইকবাল (সার্জেন্ট জহরুল হক হল) হলে। তখন প্রয়োজন পড়ল একজন অঙ্কনশিল্পীর। সমস্যার সমাধানও হয়ে যায় সঙ্গে সঙ্গেই। কারণ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা কুমিল্লার শিবনারায়ণ দাস ওই দিনই ঢাকায় এসেছিলেন এসএম হল ছাত্রলীগের সম্মেলন উপলক্ষে ব্যানার-ফেস্টুন লেখার জন্য।
সেই রাতে ইকবাল (সার্জেন্ট জহরুল হক হল) হলেই অবস্থান করছিলেন। সবাই জানতেন, শিবনারায়ণ দাসের আঁকাআঁকির হাত খুব ভালো। ১১৬ নম্বর কক্ষের মেঝেতে শিবনারায়ণ দাস তাঁর নিপুণ হাতে ট্রেসিং পেপার থেকে ম্যাচের কাঠি দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের মানচিত্র আঁকলেন লাল বৃত্তের মাঝে। তাতে দিলেন সোনালি রং। তৈরি হয়ে গেল জয় বাংলা বাহিনীর পতাকা এবং অনেকের অজান্তেই রচিত হলো এক গর্বিত ইতিহাস। পতাকা তৈরির পুরো প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন কাজী আরেফ আহমেদ, আ স ম রব, হাসানুল হক ইনু, মার্শাল মণি, শরীফ নূরুল আম্বিয়া, শিবনারায়ণ দাস, শাহজাহান সিরাজ, কামরুল আলম খান খসরু, গোলাম ফারুকসহ আরো কয়েকজন। সবার নাম অবশ্য আলোচনায় আসে না আজকাল।
প্রায় এক বছর আগে বানানো জয় বাংলা বাহিনীর এই পতাকাই ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা ইউনিভার্সিটির বটতলায় স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ আহূত ছাত্র-জনতার জনসভায় লাখো মানুষের সামনে প্রদর্শন ও উত্তোলন করেন তৎকালীন ডাকসুর ভিপি আ স ম আবদুর রব। ওই দিন পতাকা প্রদর্শনের সিদ্ধান্তের পেছনেও ভূমিকা ছিল নিউক্লিয়াস নামক সেই বুদ্ধিভিত্তিক সংগঠনের। আর সেই ইতিহাসের নায়ক হলেন একজন নেতা (তৎকালীন ছাত্রনেতা)। সাহসী সেই ছাত্রনেতার হাতে উন্মোচিত হলো স্বাধীনতা-সংগ্রামের লোগো। যে লোগো (প্রতীক) বুকে ধারণ করে ছাত্র-জনতা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মাতৃভূমি রক্ষার রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে।
লেখক : শিক্ষার্থী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়