আর্চার মাছ রক্ষণাবেক্ষণে অ্যাকুরিয়ামের পরিবেশ কেমন হবে?

অ্যাকুরিয়াম শুধু মাছ রাখার জায়গা নয়, কারও কাছে তার চেয়েও বেশি কিছু। পানির নিচের জগৎ, নিজের হাতে সেই অ্যাকুরিয়াম সাজানো, নির্দিষ্ট বাস্তুতন্ত্র বুঝে মাছ রাখা— এসবে আনন্দ খুঁজে পান অনেকেই। তাদের কাছে এ-ও যেন এক সৃষ্টি, নেশা, ভাললাগা।
অ্যাকুরিয়ামের জন্য সবাই একটু অন্য রকম মাছ খোঁজেন। এমন শখ থাকলে বেছে নিন আর্চার মাছ, এটি দেখতে ভীষণ সুন্দর। তবে এর বৈশিষ্ট্য হলো মুখ দিয়ে পানি ছোড়া। প্রচণ্ড গতিতে মুখ দিয়ে পানি ছুড়তে পারে আর্চার মাছ। সে কারণেই তার এমন নামকরণ।
অনেকেই বলেন, বিভিন্ন গবেষণাতেও উঠে এসেছে এই মাছ নাকি লোকজনের মুখ মনে রাখতে পারে। মূলত শিকার ধরার জন্যই মাছটি পানি ছুড়ে। পানির গতিতে ঘায়েল হয় ছোট পোকামাকড়।
এই মাছের জন্য অ্যাকুরিয়ামের পরিবেশ কেমন হবে?
– আর্চার মাছ সমুদ্রের মতো লবণাক্ত পানি বা পুকুরের মিষ্টি পানি, কোনোটিতেই থাকতে পারে না। এই মাছের জন্য প্রয়োজন তার মাঝামাঝি পানি। যা হালকা লবণাক্ত হবে।
– এই মাছের জন্য বড় অ্যাকুরিয়ামের দরকার। দৈর্ঘ্যে ৫ ফুট, প্রস্থ ও উচ্চতায় দুই ফুটের অ্যাকুরিয়াম প্রয়োজন। কিংবা ৭৫ গ্যালন পানি ধরে, এমন অ্যাকুরিয়াম দরকার।
– খাওয়ার বিষয়টা বেশ আলাদা। এই মাছ মুখ দিয়ে পানি ছুড়ে শিকারকে ঘায়েল করে খায়। ফলে আর্চার মাছের জন্য ছোট ছোট পোকামাকড়, লার্ভা, শুকনো প্ল্যাঙ্কটন দিতে হবে।
– ছোট ছোট মাছেদেরও খেয়ে নেয় এই মাছ। এমনিতে শান্ত হলেও, বড় মাছের সঙ্গে রাখলে ঝামেলা হতে পারে।
– ঠিকঠাকভাবে রাখতে পারলে আর্চার মাছ ৫-৮ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
– ২২থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এই ধরনের মাছের জন্য আদর্শ।