বৈশাখে রঙিন শাড়িতে
সবাই বলে, বৈশাখ এখন আর লাল-সাদার মধ্যে বন্দি নেই। সত্যিই কি তাই? কিছুটা হয়তো সত্যি। তবে বৈশাখ এলে মানুষ এখনো লাল-সাদার প্রতিই বেশি ঝোঁকে। এর কারণ একটাই- ঐতিহ্য। পহেলা বৈশাখের সঙ্গে লাল-সাদা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। আজকাল লাল-সাদা মিলিয়ে না পরলেও একরঙা লাল বা একরঙা সাদা শাড়ি অনেকেই পরেন। দেখতে অবশ্য মন্দ লাগে না। এ ছাড়া লাল-সাদার বাইরে অন্য রং হিসেবে ব্যবহৃত হয় মেরুন, অরেঞ্জ, অফহোয়াইট, মেজেন্টা ইত্যাদি।
রঙে পরিবর্তন এলেও কাপড়ে তেমন কোনো পরিবর্তন চোখে পড়ে না। যেহেতু গরম, সেহেতু সুতি কাপড়কেই প্রাধান্য দেওয়া হয় এই সময়টাতে। যদিও কেউ কেউ সিল্ক বা হাফসিল্কও বেছে নিচ্ছেন। তবে স্বাচ্ছন্দ্যের কথা চিন্তা করলে সুতির কাপড়ই ভালো।
এবারের বৈশাখের পোশাকগুলোয় করা হয়েছে ব্লক প্রিন্ট, স্ক্রিন প্রিন্ট, কাঁথা স্টিচ, এপ্লিক, এমব্রয়ডারি ও কারচুপির কাজ। এ ছাড়া থিম হিসেবে বিভিন্ন লতাপাতা, কলকা, ফুল পেইন্টিং ও উড কার্ভিংয়ের কাজ ছিল চোখে পড়ার মতো।
গরমের কারণে ব্লাউজের কাটিংয়েও ভিন্নতা এসেছে। বড় গলার ব্লাউজের চল ইদানীং ভালোই চলছে। আর হাতাটাও কেউ কেউ থ্রি-কোয়ার্টার বা ফুলের জায়গায় হাফ করে নিচ্ছেন। তবে একরঙা ব্লাউজকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বেশি।
ফ্যাশন বা পোশাক যেমনই হোক না কেন, বৈশাখ মাসে বাংলা নববর্ষকে আনন্দের সঙ্গে বরণ করে নিতেই নিজেকেও সাজিয়ে নেন বাঙালিরা।
পরামর্শ
১. কাপড় কেনার সময় ভারী না পাতলা ভালো করে খেয়াল করুন। না হলে গরম লাগতে পারে।
২. ব্লাউজটা সুতি কাপড়ের হলে ভালো হবে। পরে আরাম পাবেন।
৩. গরমের সময় শাড়ির সঙ্গে মেকআপ খুব একটা ভারী না হওয়াই ভালো।
৪. শাড়ি পরলে খোঁপা অথবা বেণী করাই ভালো। সারা দিন স্বস্তি পাবেন।
৫. খুব ভারী কাজের শাড়ি এই উৎসবে না পরাই ভালো।