অফিসে কাজের চাপ? সামলাবেন যেভাবে
ঈদের দীর্ঘ ছুটি শেষ হয়েছে এরই মধ্যে। চাকরিজীবীদের এখন দম ফেলার ফুরসত নেই। ছুটি শেষে যথারীতি কাজে মগ্ন তারা।
একজন চাকরিজীবী খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে তাঁর সর্বোচ্চটুকু ঢেলে দেন, পাশাপাশি ব্যক্তিগত অর্জনের দিকেও খেয়াল রাখেন। তবু কর্মক্ষেত্রে তাঁকে এমন কিছু বিষয়ের মুখোমুখি হতে হয় যা তাঁর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সাধারণত অফিসে স্বচ্ছ যোগাযোগব্যবস্থা না থাকলে, প্রত্যাশা স্পষ্ট না হলে, নিয়মনীতি যথাযথভাবে অনুসরণ না করলে কর্মক্ষেত্রে উদ্বেগ দেখা দেয়। এটি একজন চাকরিজীবীর কাজের মানও কমিয়ে দেয়।
একইভাবে আপনি যদি মনে করেন, আপনার সহকর্মী, জুনিয়র কিংবা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে আপনি ঠিকঠাক যোগাযোগ করতে পারছেন না, তাহলে এটি অবশ্যই আপনার কাজে তৃপ্তি কমাবে। হিন্দুস্তান টাইমসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কর্মক্ষেত্রে আপনার উদ্বেগ কমাতে নিচের টিপসগুলো দেখে নিতে পারেন—
সংযোগ ও সম্পর্ক গড়ে তুলুন
কর্মক্ষেত্রে আপনার চারপাশের মানুষ সম্পর্কে বুঝতে জেনে নিন তাঁরা কোথা থেকে এসেছেন এবং কীভাবে কাজ করেন। তাঁদের সাধারণ প্রশ্ন করুন এবং প্রতিদিন তাঁদের উপস্থিতির সময়ে সতর্ক হোন, সম্ভব হলে অভ্যর্থনা জানান। যেকোনো সমস্যায় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
একইসঙ্গে অফিসে কারো অগোচরে তাঁর সম্পর্কে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। পরস্পর আলাপ করুন। কাজের পাশাপাশি অফিসে মজার কিছু মুহূর্ত কাটানোর চেষ্টা করুন। সুযোগ পেলে অফিসের বাইরেও তা অব্যাহত রাখুন।
স্পষ্ট হোন
কোনো ব্যাপারে অনিশ্চয়তা থাকলে প্রশ্ন করতে কিংবা অতিরিক্ত তথ্য চাইতে দ্বিধা করবেন না। প্রতিষ্ঠান আপনার কাছে কী প্রত্যাশা করে বা সহকর্মীদের প্রতি আপনার কী কী দায়িত্ব আছে, তা জেনে নেওয়া আপনার কর্তব্য। এসব ব্যাপারে স্পষ্ট হতে চাওয়াকে কখনোই আপনার জ্ঞানের অভাব হিসেবে দেখবেন না।
বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
আমরা প্রায়ই অবাস্তব প্রত্যাশার বোঝা নিজেদের উপর চাপিয়ে দেই। কোনো কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য চাপ থাকতেই পারে। কিন্তু এটি নিয়মিত রুটিন হতে পারে না। কাজের একটি বাস্তবসম্মত রুটিন তৈরি করা এবং তা মেনে চলা আপনার উদ্বেগ কমিয়ে দেবে বহুলাংশে। এটি আপনার পছন্দের কাজগুলো করতে, শখের কাজে সময় ব্যয়ে এবং স্বাস্থ্য ও জীবনধারায় মনোযোগ দিতেও সহায়ক হবে।
এর পরও যদি আপনি তীব্র উদ্বেগের মুখোমুখি হন এবং তা আপনার সম্পর্ক, ঘুমে প্রভাব ফেলে; তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ভুল করবেন না।