জ্যোতিষীর চোখে
জাতীয় নেতাদের নতুন বছর
আজ ২০১৮ সালের শেষ দিন। আগামীকাল রোববার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে নতুন বছর। চলুন জেনে নিই নতুন বছরটি কেমন যাবে জাতীয় নেতাদের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রী জননন্দিত নেত্রী শেখ হাসিনার জন্মতারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর। পাশ্চাত্য জ্যোতিষে তিনি তুলারাশির জাতিকা। বছরের শুরুতে তুলা রাশিতে চন্দ্র ও রাশ্যাধিপতি শুক্র অবস্থান করছে। শুভগ্রহ বৃহস্পতি ও বূধ অবস্থান করছে বৃশ্চিকে। তুলাতে মঙ্গলের দৃষ্টি রয়েছে। ফলে ২০১৯ সন তুলারাশির জাতিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য শুভ ও গুরুত্বপূর্ণ বছর হিসেবে পরিণত হবে। তিনি নির্বাচনোত্তর সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে আশা করা যায়। তার জনপ্রিয়াতা বৃদ্ধি পাবে । আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও তার সুনাম ও মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকবে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তথা শত্রুরা তার সুনাম হানির জন্য বিবিধ্মুখী তৎপরতা চালাতে পারে। তবে তাদের এধরনের প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য মোটামুটি ভালো যাবে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো কোনো ঘটনার আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। শরীর স্বাস্থ্য মোটামুটি ভালো গেলেও অতিরিক্ত শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ফলে তিনি প্রায়ই ক্লান্তিবোধ করতে পারেন। তিনি এ বছর কোনো ধরনের পুরস্কার বা সম্মানে ভূষিত হতে পারেন।
বেগম খালেদা জিয়া
বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ২০১৯ সাল শুভাশুভ মিশ্র সম্ভাবনাময়। তার শরীর স্বাস্থ্য খুব একটা ভালো যাবে না। মাঝেমধ্যেই তিনি অসুস্থবোধ করবেন। তিনি কোনো ধরনের অস্ত্রপাচারের সম্মুখীন হতে পারেন। জাতীয় নেত্রী হিসেবে তার ইমেজ অক্ষুণ্ণ থাকতে পারে। ব্যক্তিগত ভাবে বিবিধমুখী আইনি জটিলতায় তিনি কিছুটা মানসিক বিষণ্ণতায় ভুগতে পারেন। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এবং দলের অভ্যন্তরে তার প্রভাব প্রতিপত্তি অক্ষুণ্ণ থাকলেও ঘরের শত্রু বিভীষণের অভাব হবে না। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাঁকে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। নানা করণে তার কারা মুক্তি বিলম্বিত হতে পারে।
হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির নেতা হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের জন্য ২০১৯ সন সামগ্রিকভাবে শুভ সম্ভাবনাময় হলেও তাঁর শরীর স্বাস্থ্য খুব একটা ভালো নাও যেতে পারে। পারিবারিক দ্বন্দ্ব রাজনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে তাঁর উচিত হবে আবেগ ও উত্তেজনা সংযত রাখা। অন্যথায় কোনো ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। স্বাস্থ্যগত ব্যাপারে কোনো ধরনের ঝুঁকি তিনি না নিলেই ভালো করবেন।