৮০ টাকায় ভরপেট বিরিয়ানি
বিরিয়ানির কথা মাথায় আসলে চোখে ভেসে ওঠে বাসমতি চালের এক প্লেট বিরিয়ানি থেকে ধোয়া উঠার ছবি। আর তার সঙ্গে যদি থাকে নলি তাহলে তো কোনো কথাই নেই। ভোজন রসিকরা চায় এমনই ভিন্ন কিছু তাদের খাবারের তালিকায়। তবে দামের দিকে নজর থাকে সবারই। এসব কিছুর কথা মাথায় রেখে ২০( বিশ) বছর ধরে মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের বাজারে ‘ফায়জানে মদিনা বিরিয়ানি হাউজ’ বিক্রি করছে ৮০ টাকায় নলিসহ ভরপেট বিরিয়ানি। তবে লোকমুখে এ বিরিয়ানি ‘বোবার বিরিয়ানি’ নামে পরিচিত’। মূলত ‘ফায়জানে মদিনা বিরিয়ানি হাউজের একজন কর্মীর নাম মো. সামির। তিনি পরিবেশন করে থাকেন বিরিয়ানি। সামির বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় সবার কাছে এ বিরিয়ানি ‘বোবার বিরিয়ানি’ নামে বেশি পরিচিত।
‘বোবার বিরিয়ানির’ অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো বিরিয়ানি রান্না করা হয় লাকড়ি (খড়ি) দিয়ে। সপ্তাহে সাতদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকে ‘ফায়জানে মদিনা বিরিয়ানি হাউজ’। অন্যভাবে বললে বোবার বিরিয়ানি। সাপ্তাহিক ছুটি নেই তাদের।
হাফ বিরিয়ানি ৫০ টাকা, ফুল ৮০ আর স্পেশাল বিরিয়ানি ১২০ টাকা। আর বোরহানিও রয়েছে ১০০ টাকা লিটার আর গ্লাসপ্রতি ২০ টাকা করে।
অর্ডারের দুই মিনিটের মাথায় চলে আসবে ধোয়া উঠা বিরিয়ানির প্লেট। প্লেটের দিকে তাকাতেই দেখতে পাবেন পাঁচ পিছ মাংস,একটি বড় নলি, আস্ত এক টুকরা আলু আর সালাদ। খাবারের স্বাদ মান নিয়ে বলতে গেলে এক কথায় বলতে হবে অসাধারণ। হাতে সময় থাকলে আপনিও ঢু মারতে পারেন ‘ফায়জানে মদিনা বিরিয়ানি হাউজে’বোবার বিরিয়ানি খেতে।
যেভাবে যাবেন
বোবার বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য আপনাকে রাজধানীর গুলিস্তান থেকে যেকোনো সিটি বাসে করে নামতে হবে আসাদগেট অথবা মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে। সেখান থেকে ২০ টাকা রিকশা ভাড়া করে যেতে হবে ক্যাম্পের বাজারে। রিকশা ঠিক আপনাকে মোহাম্মাদপুর মডেল স্কুলের সামনে নামিয়ে দেবে। তারপর গলির পথ ধরে দুই মিনিট হাটলে হাতের বামে আপনি পেয়ে যাবেন ‘ফায়জানে মদিনা বিরিয়ানি হাউজ’।
আপনি যদি রাজধানীর গাবতলি বাসস্ট্যান্ড থেকে রওনা দেন তাহলে আপনাকে নামতে হবে শ্যামলী বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে ৪০ টাকা রিকশা ভাড়া করে আপনি যেতে পারবেন ‘ফায়জানে মদিনা বিরিয়ানি হাউজ’ যা বোবার বিরিয়ানি নামে পরিচিত।
প্রতিদিন গড়ে ৬০ থেকে ১০০ কেজি চালের বিরিযানি রান্না হয়, প্রতিদিনের খাবার প্রতিদিনিই শেষ হয়, সকালে একবার আর বিকেলে একবার রান্না করা হয়।