নারী সহকর্মীর কটূক্তির শিকার দুই-তৃতীয়াংশ নারী!
কর্মক্ষেত্রে পুরুষ দ্বারা কটূক্তির শিকার হন নারী— এমন খবর বহুল শ্রুত হলেও নতুন গবেষণা বলছে, দুই-তৃতীয়াংশের বেশি নারী কটূক্তির শিকার হন নারী সহকর্মীদের দ্বারাই। একে ‘কুইন বি সিনড্রোম’ বা ‘রানি মৌমাছি লক্ষণ’ বলছেন গবেষকরা।
ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড লানিং ইন অরগানাইজেশনসের সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় দেখা যায়, ৭০ শতাংশ নারী নির্বাহী মনে করেন, তাঁরা অফিসে নারী সহকর্মীদের দ্বারা উত্ত্যক্ত হয়েছেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
কুইন বি সিনড্রোম হলো এমন ব্যবহার, যখন নারীরা তাদের নারী সহকর্মী দ্বারা বাজে আচরণের শিকার হন। এ ধরনের মানুষ সামাজিক উচ্চতা নিপুণভাবে ব্যবহার করে অন্যকে অপরের কাছে ছোট করে তোলেন।
এ গবেষণা নিবন্ধটি লিখেছেন লন্ডনভিত্তিক পরামর্শক এবং টেক উইমেন টুডের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সিসিলিয়া হারভে। বলেন, কুইন বি সিনড্রোম কর্মক্ষেত্রে নারীর অগ্রযাত্রায় বড় বাধা।
সিসিলিয়া হারভে লেখেন, কুইন বি আচরণ ব্যক্তিগত পেশা ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাঁরা প্রায়ই অন্যের মেধাকে প্রতিরোধ করে, যারা কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতির পথে।
ওয়ার্ক প্লেস বুলিং ইনস্টিটিউট জানায়, কর্মক্ষেত্রে ৫৮ শতাংশ কটূক্তি আসে নারী সহকর্মীদের কাছ থেকে। ৯০ শতাংশ নারী এদের শিকার।
হারভে বলেন, ‘কুইন বি বা রানি মৌমাছিরা সবসময় শক্তিশালী ও উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের ব্যাপারে দ্বিধায় থাকে।’
প্রতিবেদনটি বলছে, রানি মৌমাছি লক্ষণ পুরো কোম্পানির ওপরই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর কারণে উৎপাদনশীলতা কমে, লাভ কম হয় এবং কর্মীসন্তুষ্টির মাত্রা কমে যায়।
হারভে পরামর্শ দেন, ব্যবস্থাপনাকে অবশ্যই এই জটিলতার মধ্য থেকে উত্তরণ করতে হবে এবং নারীর প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে হবে।
হারভে কর্মক্ষেত্রে নিজেই নারী দ্বারা উত্ত্যক্ত হয়েছিলেন। এ কারণে তিনি এ নিয়ে গবেষণা করতে মনোযোগী হন। তিনি বলেন, যদি প্রতিষ্ঠান উচ্চপদে নারীর সংখ্যা বাড়াতে চায়, তবে অবশ্যই রানি মৌমাছি লক্ষণকে আমলে নিতে হবে।