রেসিপি
মসুর ডালের চচ্চড়ি
এখন বর্ষাকাল। আশা করছি, এ সময় সবাই খুব ভালো ও সুস্থ আছেন। সুস্থ থাকার জন্য আমাদের সুষম খাবার খেতে হবে। পাশাপাশি পরিবারকে সময় দিতে হবে, কায়িক শ্রম বা শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে, ঘুরে বেড়াতে হবে। তাহলেই শত কর্মব্যস্ততার মধ্যেও আমরা ভালো থাকতে পারব।
এই বর্ষাকালের জন্য ভালো ও হেলদি খাবারের একটি রেসিপি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি। এনটিভির টেল প্লাস্টিকস রান্নাঘর অনুষ্ঠানে রেসিপিটি দিয়েছেন বিশিষ্ট রন্ধনশিল্পী রাহিমা সুলতানা রিতা। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান।
ডালের মতো ট্র্যাডিশনাল খাবার দিয়ে অনেক ধরনের রেসিপি বানানো যায়। এ ক্ষেত্রে মসুর ডালের চচ্চড়ি কীভাবে রান্না করবেন, তার রেসিপি এখানে উপস্থাপন করা হচ্ছে। আশা করছি, খাবারটি বেশ সুস্বাদু লাগবে এবং সবাই মিলে তৃপ্তির সঙ্গে খেতে পারবেন।
রান্নার যেসব উপকরণ লাগবে:
মসুর ডালের চচ্চড়ি তৈরি করতে তেমন কিছুই লাগে না। উপকরণগুলো বাসায় সব সময় থাকে। খুব কম সময়ই লাগে চচ্চড়ি তৈরি করতে। অনেকেই আছেন পাতলা ডাল পছন্দ করেন না, তাঁরা কিন্তু চাইলে এই চচ্চড়িটি খেতে পারেন। পরিবারের চার-পাঁচজনের খাবার জন্য রান্নার উপকরণ ও পরিমাণ নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. তেল (পরিমাণমতো), ২. তেজপাতা (তিনটি) ৩. রসুন কুচি (দুই টেবিল চামচ), ৪. মরিচ গুঁড়া (আধা চা চামচ), ৫. হলুদ গুঁড়া (আধা চা চামচ), ৬. আদা বাটা (এক চা চামচ), ৭. জিরার গুঁড়া (এক টেবিল চামচ), ৮. ধনিয়া গুঁড়া (দুই টেবিল চামচ), ৯. পানি (পরিমাণমতো), ১০. লবণ (স্বাদমতো), ১১. মসুর ডাল (এক কাপ), ১২. কাঁচামরিচ (পাঁচ-ছয়টি), ১৩. ঘি (দুই টেবিল চামচ)।
যেভাবে রান্না করবেন
চচ্চড়ি আমাদের খুব কমন খাবার। ডালের চচ্চড়ি, মাছের চচ্চড়ি সবাই খেতে পছন্দ করেন। তবে বাসায় অতিথি এলে তখন অনেকেই পাতলা ডাল না রান্না করে ডালটাকে স্পেশাল করার জন্য চচ্চড়ি রান্না করেন।
প্রথমে প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, তেজপাতা ভেজে নিন। পেঁয়াজ ভাজা হয়ে এলে সব মসলা দিয়ে সামান্য পানি দিয়ে দিন। প্যানে মসলা দিয়ে ডেকে দু-তিন মিনিট কষিয়ে নিন। মসলা কষে এলে তাতে ডাল দিয়ে দিন।
এরপর ডাল একটু নেড়ে তাতে পানি দিয়ে দিন। ডালের সমপরিমাণ পানি দিতে হবে, যাতে ডালটা গলে না যায়। রান্না হয়ে এলে কাঁচামরিচ দিন। সব শেষে তাতে ঘি দিয়ে নেড়ে তুলে নিন। তবে মনে রাখবেন, ঘি দিলে ধনেপাতা দেওয়া যাবে না।
সতর্কতা
ডালজাতীয় খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, যাঁরা আর্থ্রাইটিস বা কিডনি রোগে ভুগছেন, তাঁরা ডালজাতীয় খাবার কম খেলে বা এড়িয়ে চললে ভালো হয়।