মমতাজ সুন্দরীতমা
চ্যাম্পিয়ন সানজিদা ভাসছেন কল্পনায়
যে স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন, তা সত্যি হলো শেষ পর্যন্ত। সবাইকে ডিঙিয়ে সুন্দরীতমার খেতাবটি ছিনিয়ে নিয়েছেন তিনি। তাঁর নাম সানজিদা আক্তার। ‘সৌন্দর্যের সাথে স্বপ্নের পথে’ স্লোগান সামনে রেখে গত মে থেকে শুরু হয়েছিল ‘মমতাজ সুন্দরীতমা’ ২০১৭ প্রতিযোগিতা। দেশের বিভিন্ন এলাকার সুন্দরীদের সন্ধানে মমতাজ হারবালের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করছে টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি। এনটিভিতে আজ রাতে প্রচারিত হয়েছে প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন সানজিদা আক্তার। মমতাজ সুন্দরীতমা হওয়ার অনুভূতি ও অন্যান্য প্রসঙ্গে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন সানজিদা।
এনটিভি অনলাইন : ‘মমতাজ সুন্দরীতমা’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে কেমন লাগছে?
সানজিদা : আমি সত্যি ভাবিনি, এ জায়গায় আসতে পারব। এখনো মনে হচ্ছে, যেন কল্পনায় ভাসছি। তবে নিঃসন্দেহে ভীষণ ভালোলাগা কাজ করছে।
এনটিভি অনলাইন : এই প্রতিযোগিতায় আসার জন্য কার কাছ থেকে আপনি বেশি অনুপ্রেরণা পেয়েছেন?
সানজিদা : এনটিভির ফেসবুক পেজে আমার এক বন্ধু এই প্রতিযোগিতার বিজ্ঞাপন প্রথম দেখেছিল। বিজ্ঞাপন দেখে সেই বন্ধু আমাকে বলেছিল, ‘শোন, আমি এই প্রতিযোগিতায় নাম দিব। তুই দিবি কি না।’ আমি ওর কথায় রাজি হই এবং প্রতিযোগিতায় নামও নিবন্ধন করি। মজার ব্যাপার হলো, আমার বন্ধু নাম নিবন্ধন করলেও পরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেনি।
এনটিভি অনলাইন : শুধুই কি বন্ধুর আগ্রহ কাজ করেছে এই প্রতিযোগিতায় আসার পেছনে?
সানজিদা : আসলে আমার ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছা ছিল। একটা প্লাটফর্ম মনে মনে খুঁজছিলাম। এনটিভির মাধ্যমে সেই প্লাটফর্ম আজ পেয়ে গেলাম।
এনটিভি অনলাইন : ভবিষ্যতে মডেলিং কিংবা অভিনয় কোন বিষয়ে কাজ করার স্বপ্ন দেখেন?
সানজিদা : মডেলিংও করতে চাই। তবে অভিনেত্রী হওয়া আমার একমাত্র লক্ষ্য। আমি মনে-প্রাণে অভিনেত্রী হতে চাই।
এনটিভি অনলাইন : আপনার পড়াশোনার খবর জানতে চাই…
সানজিদা : আমি এবার বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছি।
এনটিভি অনলাইন : ‘মমতাজ সুন্দরীতমা’ প্রতিযোগিতা থেকে কী শিখেছেন?
সানজিদা : অনেক কিছু। বিশেষ করে সময়জ্ঞান। আমি আগে ঘুম থেকে অনেক দেরিতে উঠতাম। এই প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার পর থেকেই খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস হয়েছে।