সৌন্দর্যকে সঙ্গী করে স্বপ্নের পথে হাঁটার যাত্রা শেষ হলো। স্বপ্ন সত্যি হলো সানজিদা আক্তারের। তিনিই হয়েছেন এবারের মমতাজ সুন্দরীতমা। গত ১৬ মে থেকে ‘সৌন্দর্যের সাথে স্বপ্নের পথে’ স্লোগান সামনে রেখে মমতাজ সুন্দরীতমা প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। দীর্ঘ তিন মাস প্রতীক্ষার পর আজ রাতে এনটিভিতে প্রচারিত হয় এই প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে।

হাজারো প্রতিযোগীর সঙ্গে লড়াই করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন সানজিদা আক্তার, প্রথম রানার আপ আফরানা ইসলাম প্রীতি ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন নুসরাত জাহান মিথিলা।

প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন সানজিদা পুরস্কার হিসেবে এক লাখ টাকা, প্রথম রানা‍রআপ প্রীতি ৫০ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় রানারআপ মিথিলা ২৫ হাজার টাকা পেয়েছেন। তাঁদের হাতে পর্যায়ক্রমে পুরস্কার তুলে দেন এনটিভির পরিচালক আলহাজ্ব নুরুদ্দীন আহমেদ, মমতাজ হারবাল প্রোডাক্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাদাদ আলী ভিরানী ও মমতাজ হারবাল প্রোডাক্টের মহাব্যবস্থাপক আবদুস সাত্তার।

গ্র্যান্ড ফিনাল প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী সমরজিৎ রায়চৌধুরী, ফ্যাশন ডিজাইনার শৈবাল সাহা, পরিচালক আলী ফিদা আকরাম তোজো, রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে উপস্থাপনা করেছেন ফুয়াদ ও চৈতী।

গ্র্যান্ড ফিনালেতে সেরা ১০ প্রতিযোগী র‍্যাম্পে হাঁটেন ও অভিনয় করে দেখান। বিচারকদের প্রশ্নের উত্তরও দেন তাঁরা। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ইমরানের গান, চিত্রনায়িকা নিপুণ ও নিঝুম রুবিনার নাচ ভিন্নমাত্রা যোগ করে।

প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন সানজিদা আক্তার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ভাবতে পারিনি যে আমিই প্রথম হব। খুব ভালো লাগছে। মিডিয়ায় নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করার স্বপ্ন দেখছি।’

প্রথম রানার আপ আফরানা ইসলাম প্রীতি বলেন, ‘আমি একজন টেনিস খেলোয়াড়। আমার মা আমাকে একজন সফল অভিনেত্রী হিসেবেও দেখতে চান। আমি টেনিস খেলার পাশাপাশি মায়ের স্বপ্ন পূরণ করার চেষ্টা করব। সবাই দোয়া করবেন।’

দ্বিতীয় রানার আপ নুসরাত জাহান মিথিলা বলেন, ‘আমি এত বেশি খুশি যে সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। মিডিয়ায় কাজ করতে আমি অনেক আগ্রহী। আশা করছি, নিজের স্বপ্নের জায়গায় একদিন পৌঁছাতে পারব।’

মমতাজ হারবাল প্রোডাক্টের মহাব্যবস্থাপক আবদুস সাত্তার বলেন, ‘শীর্ষ তিনজনকে আমরা বিজ্ঞাপনে ও নাটকে অভিনয় করার সুযোগ দেব। এটা আগেই আমরা বলেছি। প্রতিযোগিতা মাত্র শেষ হলো। কিছুদিন পরেই আমরা আমাদের দ্বিতীয় কার্যক্রম শুরু করব। আশা করছি, এঁরা তিনজন দেশের ভালো মডেল ও অভিনেত্রী হতে পারবেন।’

দেশের বিভিন্ন এলাকার সুন্দরীদের সন্ধানে মমতাজ হারবালের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করেছিল দেশের শী‍র্ষ টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি। আর প্রতিযোগিতার পুরো কা‍র্যক্রম পরিচালিত হয় এনটিভি অনলাইনের (ntvbd.com) মাধ্যমে।

সারা দেশের ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। কয়েক হাজার প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য নাম নিবন্ধন করেন ও তাঁদের ছবি পাঠান। প্রতিযোগীদের পাঠানো ছবি থেকে বিচারকরা বেছে নেন সেরা ৪০ জনকে। নির্বাচিত ৪০ জনের ছবি এনটিভি অনলাইনে প্রদর্শন করা হয়। সেখানে নিজের পছন্দের প্রতিযোগীকে ভোট দিয়েছেন এনটিভি অনলাইনের পাঠক। ভোটগ্রহণ ৩ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত চলেছে। পাঠকের ভোট ও বিচারকদের মতামতের ভিত্তিতে বেছে নেওয়া হয় সেরা ১০ সুন্দরীকে। এরপর নির্বাচিত ১০ সুন্দরীকে গ্রুমিং করিয়েছেন  বিউটি এক্সপার্ট আফরোজা পারভীন। আর র‍্যাম্প মডেলিং-এর গ্রুমিং করিয়েছেন জনপ্রিয় র‍্যাম্প মডেল ও কোরিওগ্রাফার বুলবুল টুম্পা। নির্বাচিত সেরা ১০ সুন্দরীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা। সেখান থেকে বিচারকদের মতামতের ভিত্তিতে বেছে নেওয়া হয় শীর্ষ তিনজনকে।

মমতাজ হারবালের স্পন্সরে টেলিফিল্ম ও বিজ্ঞাপনে এক বছর কাজ করার সুযোগ পাবেন শীর্ষ তিনজন। এ ছাড়া ফাইনালে অংশ নেওয়া বাকি সাতজন স্বীকৃতি সনদ ও আকর্ষণীয় গিফট হ্যাম্পার পেয়েছেন।