কর্মজীবী নারী দীর্ঘায়ু হয়, বলছে গবেষণা
বর্তমানে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সমানতালে এগোচ্ছে। ঘর, সন্তান, সংসার সামলে বাইরেও এখন নারীর সরব পদচারণা।
অফিসের কাজ সামলে ঘরে এসে কাজ করা ক্লান্তিদায়ক বটে, তবে কর্মজীবী নারীর জন্য সুখবর রয়েছে। সম্প্রতি এক গবেষণা বলছে, যাঁরা তরুণ বয়সে চাকরি করেন তাঁরা অবসরে যাওয়ার পর অনেক সুখী ও স্বাস্থ্যবান থাকেন এবং দীর্ঘায়ু হন। ভারতের সংবাদ সংস্থা টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশ হয়েছে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
৩৬ বছর ধরে পাঁচ হাজার ১০০ নারীর ওপর এ গবেষণা করা হয়। গবেষণা শুরু হয়, ৩০ থেকে ৪৪ বছর বয়সী নারীর ওপর। তাঁদের শারীরিক, মানসিক ও স্বাস্থ্যগত বৃদ্ধি দেখা হয়, ৬৬ থেকে ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত।
গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, যাঁরা অন্তত ২০ বছর অর্থ উপার্জন করেন তাঁরা বয়স বাড়লে অনেক বেশি সুখী হন এবং কম শারীরিক জটিলতায় ভোগেন সাধারণ গৃহীনিদের তুলনায়।
কেবল তাই নয়, গবেষণায় এ-ও বলা হয়, কর্মজীবী নারী অবসরের পর কম বিষণ্ণতায় ভোগেন। গবেষণাটি প্রকাশ হয় ডেমোগ্রাফি জার্নালে। গবেষক জেনিফার জানান, কর্মজীবী নারী পুরুষের আধিপত্য থেকে বের হয়ে আসতে পারেন, এ কারণে হয়তো তাঁরা এতোটা সুখীবোধ করেন।
তবে এর বিপরীত দিকও রয়েছে। গবেষণায় কর্মজীবী নারীর জীবনের কিছু নেতিবাচক দিক উঠে এসেছে। কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ, নারী-পুরুষ বৈষম্য নারীর মধ্যে ভীষণ মানসিক চাপ তৈরি করে। এটি পরে তাঁদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর বাজে প্রভাব ফেলে।