জেনে নিন, কমলালেবুর বিচির ৫ উপকারিতা
শীত এগিয়ে আসছে। কমলালেবুর মৌসুমও শুরু হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই বাজার দখল নেবে টকটকে কমলা রঙের ফলটি। কমলার কোনোটা শুধু মিষ্টি, আবার কোনোটা টক-মিষ্টি মিশেল। শীতের দুপুরে মিঠে-কড়া রোদে শরীর মেলে খোসা ছাড়িয়ে একটা একটা করে কোয়া মুখে ফেলার আমেজই আলাদা। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি অনলাইনে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
শুধু ফল নয়, কমলালেবুর ফলের খোসাও রূপচর্চা, বিভিন্ন খাবার তৈরিতে কাজে লাগে। যদিও ফলের বিচিগুলোকে আমরা বড় অবহেলা করি। তাকে কোনো কাজেই লাগাই না। কমলার বিচির কিন্তু অ-নে-ক গুণ। তাই এ বছরের শীতে কমলালেবু খাওয়ার সময় বিচিগুলো ফেলে দেবেন না। দেখুন না, কতভাবে কাজে লাগে এই বিচি?
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর : অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই বিচি শরীরকে বিষমুক্ত করতে যথেষ্ট সাহায্য করে। তাই শীতে প্রতিদিনের ডায়েটে একটা কমলালেবু থাকা উচিত, সর্দি-কাশি কমাতে। শীতের উপসর্গের সঙ্গে লড়বে এটি।
স্বাদ বাড়ায় : শীত মানেই কমলালেবু। শীত মানেই কেক-পেস্ট্রি-পিঠার দিন। কেক তৈরিতে এই বিচির তেল অতি প্রয়োজনীয় উপকরণ। এর টক-মিষ্টি গন্ধ যেকোনো ডেজার্ট তৈরিতে কাজে লাগে।
এনার্জি বাড়ায় : স্বাদে তেতো। কিন্তু পালমিটিক, ওলেইক আর লিনোলেইক এসিড এতে থাকায় কমলালেবুর রসের সঙ্গে এই বিচি খেলে শীত কাবু আপনার কাছে।
কেশচর্চা : এই বিচির তেল খুব ভালো কন্ডিশনার। ভিটামিন সি-র গুণে সমৃদ্ধ এই তেল স্ক্যাল্পে (মাথার খুলিতে) মাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। এতে চুল হয় স্বাস্থ্যে ঝলমল। গোড়া হয় মজবুত। নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
পরিষ্কার রাখে : বিচির মধ্যে থাকা তেল খুব ভালো ক্লিনজার। মেশিনের গা থেকে তেলের ছোপ কমাতে, নাছোড় দাগ তুলতে এই তেল কাজে লাগে। এ ছাড়া ঘরের দুর্গন্ধ কমাতেও সাহায্য করে।