চুল পাকছে? জানুন ঘরোয়া প্রতিকার
অনেকের মত, জিনগত কারণে অল্প বয়সে চুল পেকে যায়। তবে শুধু জিনগত কারণ নয়, খাদ্যাভ্যাস ও দুশ্চিন্তাও পাকা চুলের জন্য দায়ী।
ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেল-মসলাযুক্ত খাবার বেশি খেলে অকালে চুল পাকার সম্ভাবনা দেখা দেয়। চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার, শাকসবজি বেশি খেতে হবে। জীবনযাপনেও পরিবর্তন আনতে হবে। আসুন, আমরা অকালে চুল পাকার ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিই—
আমলকি
প্রতিদিন আমলকি খেলে চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। কাঁচা আমলকি খেতে পারেন। প্রতিদিন ছয় আউন্স তাজা আমলকির জুস খেতে পারেন। এ ছাড়া সপ্তাহে একবার চুলে আমলকির তেল লাগালেও ভালো ফল মিলবে।
পেঁয়াজের রস
পেঁয়াজের রস চুলের জন্য দারুণ কার্যকর। এটি চুল ভালো রাখার পাশাপাশি চুল পাকতে দেয় না। সপ্তাহে দুবার মাথার ত্বকে পেঁয়াজের রস ভালোভাবে ঘষুন। এরপর ৩০ মিনিট রেখে দিন। পরে শ্যাম্পু করে নিন। দেখবেন, চুল পাকা রোধ হবে।
কাঠবাদামের তেল
শুধু শরীরের জন্য নয়, চুলের জন্যও বাদাম খুব উপকারী। একইভাবে উপকারী কাঠবাদামের তেল। লেবু ও আমলকির রসের সঙ্গে কাঠবাদামের তেলের মিশ্রণ তৈরি করুন। এর পর চুল ও মাথার ত্বকে মিশ্রণটি দিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। দিনে দুবার এটা লাগালে দ্রুত কাজ হবে।
আদা
প্রতিদিন আদা খেলে অকালে চুক পাকা কমবে। এক চা চামচ পেষা আদার সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মেশান। মিশ্রণটি প্রতিদিন খেতে পারেন। দেখবেন চুল পাকা রোধ হবে।
নারকেল তেল
চুলের স্বাস্থ্যে নারকেল তেল খুব উপকারী। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালো করে চুল ও মাথার ত্বকে নারকেল তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। পরদিন সকালে ভালো করে চুল ধুয়ে নিন। একদিন পরপর নারকেল তেল চুলে লাগালে পাকা চুলের সমস্যা অনেকখানি রোধ হবে।