ত্বকের সংক্রমণ থেকে হতে পারে গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিস
কিডনির ছাঁকনির এক ধরনের প্রদাহজনিত রোগ গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিস। বিভিন্ন রোগব্যাধির জটিলতা হিসেবে এই রোগ হতে পারে। ত্বক বা গলার বিভিন্ন সংক্রমণ, সমস্যা থেকে হতে পারে গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিস।
গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিসের বিভিন্ন কারণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩০০তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কোন বয়সে সাধারণত এটি বেশি হয়?
উত্তর : গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিস অনেক ধরনের হয়। বাচ্চা বয়সে যে গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিস হয়, সেটাকে মিনিমাল চেইঞ্জ ডিজিস বলা হয়। এটা বাচ্চাদের বেশি হয়ে থাকে। এটা দুই বছর বয়স থেকে শুরু হয়, ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত হতে পারে। তবে আরেকটি সমস্যা বাচ্চাদের তুলনামূলক বেশি হয়, সেটি হলো, পোস্ট ইনফেকশাস গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিস। বিশেষ করে শীতকালে যেসব রোগ বেশি হয়, এগুলো থেকে এই গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিস হতে পারে। গলায় সংক্রমণ হলো অথবা যাদের খোসপাঁচড়া থাকে, স্কেবিজ হলো বা চুলকানি হলো, চুলকাতে গিয়ে হয়তো ত্বকে একটু আঁচড় লেগে গেল, ক্ষত হলো, সেখানে সংক্রমণ হয়ে প্রবাহিত হলো তখন স্ট্রেপটোকক্কাস জীবাণু দিয়ে হয়ে থাকে। এই সংক্রমণের কারণে এই নেফ্রাইটিস হয়। একে পোস্ট ইনফেকশাস বলা হয়। আগে তো শুধু বলা হতো স্ট্রেপটোকক্কাস দিয়ে হয়, খুব সংক্ষেপে বলা হতো পিএসজিএন। তবে এখন দেখা যাচ্ছে, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ভাইরাল ফিবার, যেকোনো সংক্রমণ হলে এর কারণে গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিস হতে পারে।