থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা কেন হয়?
থাইরয়েড গ্রন্থিতে বিভিন্ন কারণে সমস্যা হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৪৮৪তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. মিজানুল হাসান। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সের পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা হওয়ার কি সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে?
উত্তর : আয়োডিনের অভাবজনিত কারণে গলগণ্ড হয়ে থাকে। আজ থেকে হয়তো ২০/৩০ বছর আগে বাংলাদেশে গলগণ্ডের প্রকোপ অনেক বেশি ছিল। বর্তমানে আমাদের দেশে আয়োডিনযুক্ত লবণ বাজারে আসার পর এ আয়োডিনের অভাব অনেকাংশে কমে গেছে। এতে আমরা আর আগের মতো বড় গলগণ্ড দেখতে পাই না। এ ছাড়া মানুষের শারীরিক গঠনের কারণে, যাকে আমাদের ভাষায় ‘অটো ইমিউন’ সমস্যা বলি, সে কারণে থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে।
প্রশ্ন : থাইরয়েড হরমোনের রোগ পরীক্ষা করে বোঝার উপায় কী?
উত্তর : গলগণ্ড তো বৃদ্ধি হলে দেখা যায়। তবে আপনি যে বললেন হাইপার, নাকি হাইপো, নাকি ক্যানসার—এর জন্য অবশ্যই আমাদের রোগনির্ণয় পদ্ধতিতে যেতে হবে। এখন এই রোগনির্ণয়ের জন্য আমাদের বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। তবে আমি বলব, গলগণ্ড হলে তো উনি যাবেনই, এ ছাড়া শারীরিক বিভিন্ন উপসর্গ যদি অনুভব করেন, যেমন : যদি কারো হৃদকম্পন বেড়ে যায় অথবা আগে যেমন ঘামতেন এর চেয়ে বেশি ঘামেন, তার অতিরিক্ত গরম লাগে, ঘুমাতে পারেন না এবং তার ক্ষুধা ঠিকমতো আছে, তবে উনি দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে—এ ধরনের লক্ষণ হলে এগুলো সাধারণত হাইপারের লক্ষণ। আবার উল্টাটাও হতে পারে। তার কোনো কিছু ভালো লাগে না, আস্তে আস্তে তার কাজ করার স্পৃহা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং উনি সব সময় অলস বসে থাকেন। ধীরে ধীরে তার ওজন বেড়ে যাচ্ছে। এগুলো হাইপোর লক্ষণ। এ ধরনের লক্ষণ হলে উনি একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। তখন চিকিৎসক তার হরমোনের পরীক্ষা করবেন। তার থাইরয়েডের আলট্রাসাউন্ড করতে পারেন এবং নিউক্লিয়ার মেডিসিনে আমরা তার পরীক্ষা করতে পারি। পরীক্ষা করে তার রোগনির্ণয় করাটা অত্যন্ত জরুরি। রোগনির্ণয়ের পরেই তার চিকিৎসার বিষয়টি আসবে।