কনুইয়ে ব্যথা?
হাতে কাজ যাঁরা বেশি করেন, তাঁদের টেনিস এলবো বা কনুইয়ের ব্যথা হতে পারে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৪৭৭তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. কৃষ্ণ প্রিয় দাস। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : টেনিস এলবোর এমন অদ্ভুত নাম হওয়ার কারণ কী?
উত্তর : আসলে টেনিস এলবো বলতে আমরা বুঝি এলবো জয়েন্টের বাইরের দিকে প্রদাহ বা ব্যথা। আসলে টেনিস খেলোয়াড়দের এই সমস্যা বেশি হতো বলে মনে করা হতো। তবে পরে দেখা গেছে, শুধু টেনিস খেলোয়াড় নয়, হাতের বেশি ব্যবহার করে, এমনকি আমরা যাঁরা সার্জন ও বেশি অস্ত্রোপচার করি, তাঁদেরও এ সমস্যা হতে পারে। এটা শুধু যে টেনিস খেলোয়াড়দের হয়, সেটি নয়। যখন শুরু হয়েছিল তখন মনে করা হতো, টেনিস খেলোয়াড়দের এটা বেশি হয়। যারা হাত দিয়ে সার্বক্ষণিক কাজ করে, সেটা খেলাধুলা হোক বা হাতে কাজ হোক, এটা হতে পারে।
প্রশ্ন : কী হয় এতে? শুধুই কি ব্যথা হয়, নাকি আরো কোনো সমস্যা হয়?
উত্তর : আসলে এই অসুখ কেন হয়? আমরা আগেই বলছি, হাত দিয়ে কাজ করার সময় কনুইয়ে একটি প্রদাহ হয়। তিন-চারটি পেশির মধ্যে ইসিআরবি বলে একটি পেশি রয়েছে, যেটা কনুইয়ের জয়েন্টের বাইরের দিকে একটি অংশে লাগানো থাকে। ওই পেশির মধ্যে কোনো ক্ষত হলেই ব্যথাটা হয়। এই ব্যথা হলো প্রধান কারণ। এ ছাড়া এখানে সামান্য ফোলা থাকতে পারে বা হাত দিয়ে কাজ করার সময় খুব কষ্ট হবে। এমনকি পুরোপুরি শক্তি থাকে না। অনেক কমে যায়।
প্রশ্ন : ব্যথা কি এলবোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, নাকি অন্য কোথাও ছড়িয়ে পড়ে?
উত্তর : কনুইয়ের জয়েন্টের বাইরের দিকে একটি নির্দিষ্ট জয়েন্টের দিকে সীমাবদ্ধ থাকে। ক্লিনিক্যালি আমরা বিষয়টি বুঝতে পারি। ৯০ ভাগ ক্লিনিক্যালিই নির্ণয় করি।
এ ক্ষেত্রে আমরা এক্স-রে করি। আর অন্য কোনো রোগের সঙ্গে জড়িত কি না, এ জন্য ঘাড়ের এমআরআই করি। ঘাড় থেকেও অনেক সময় ব্যথা এখানে আসে। তবে এর জন্য ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা ও এক্স-রে যথেষ্ট।