লিভারের চর্বি কমাতে কী করবেন?
ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বা চর্বিযুক্ত লিভার বর্তমানে একটি প্রচলিত রোগ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। লিভারে পাঁচ শতাংশের বেশি চর্বি জমা হলে সাধারণত একে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বলে।
লিভারে চর্বি কমাতে করণীয় বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৫২৫তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : লিভারের চর্বি কমাতে চাইলে করণীয় কী?
উত্তর : একটি হলো, লিভারে চর্বি কেন এলো, সেই কারণটা জানা। কেন-এর মধ্যে দুই রকম কারণ রয়েছে। রোগের মধ্যে যেমন, ডায়াবেটিস, কিংবা যাদের রক্তে লিপিড প্রোফাইল বেশি থাকে, হাইপোথাইরয়েডের রোগী যারা, নারীদের ক্ষেত্রে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রম, মদ্যপান যারা বেশি করে, হেপাটাইটিস সি ভাইরাস যাদের থাকে- এই রোগগুলো যাদের রয়েছে তাদের ফ্যাটি লিভার হতে পারে। তাই আগে কারণে চিকিৎসা করতে হবে। কোনো না কোনো কারণ আমরা সাধারণত পাই। আরেকটি হলো, যাদের শরীরে মেদ বেশি থাকে, তাদের হতে পারে। এসব কারণ থাকলে, সেগুলোর চিকিৎসা করতে হবে।
তবে সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো, নিজেকে খুব বড় একটি পরীক্ষা দিতে হবে। আমরা সাধারণত যা করি, সকালে ফ্যাশন করে নাস্তা খাই না, দুপুরে হয়তো একটু স্যান্ডুইচ খাই, রাতে বাসায় ফিরে পেট ভরে ভাত খাচ্ছি। ভাতে থাকে কার্বোহাইড্রেট, একেই লিভার চর্বি হিসেবে সঞ্চিত রাখে। যখনই আমরা বেশি কার্বহাইড্রেট খাবো, বেশি বেশি চর্বি জমবে। তাই জীবন যাপনের ধরনের পরিবর্তন খুবই প্রয়োজন। রাতের বেলায় ভাতটা কম খাওয়া, নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা।
ভাতের বদলে রুটি খান বললে লাভ নেই। কারণ, দুটোই কার্বহাইড্রেট। তবে একটি লাভ রয়েছে। আমরা জাতিগতভাবে রুটি পেলে কম খাই, ভাত পেলে বেশি খাই। তাই কার্বহাইড্রেটের গ্রহণ কমানোর জন্য আমরা বলি, ভাতের বদলে রুটি খাবেন। ঘুমের দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়ার অভ্যাস করা ভালো। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, হাঁটাহাঁটি। এটি আমরা একদম করি না বললেই চলে। ফাস্টফুড, ফ্যাটি ফুড থেকে যদি একটু বেরিয়ে আসা যায়, তাহলে ভালো।