পেপটিক আলসার হয়েছে, নিশ্চিত হবেন কীভাবে?
পেপটিক আলসারের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। পেপটিক আলসার হলো শরীরের পেপটিক এলাকার ক্ষত।
পেপটিক আলসার নির্ণয়ে কী কী পরীক্ষা করা প্রয়োজন, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৫৬৯তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মসরোজ সেলিনা। বর্তমানে তিনি প্রাভা হেলথ ফ্যামিলি ডক্টরস অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ফ্যামিলি মেডিসিন বিভাগে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : পেপটিক আলসারের রোগীকে কীভাবে ব্যবস্থাপনা করে থাকেন?
উত্তর : প্রথমত, আমরা তার ইতিহাস নেওয়ার চেষ্টা করব। তার খাদ্যাভ্যাস কেমন বা সে কী করছে, এর মধ্যে কী ওষুধ খেয়েছে, সেগুলো জানার চেষ্টা করব।
সাধারণত আলসারটা খুব বেশি যার জন্য হয় সেটি হলো এনএসআইডি। আমরা যত্রতত্র ওষুধের দোকান থেকে ব্যথানাশক ওষুধ কিনে খেয়ে ফেলছি। যাদের আরথ্রাইটিসের সমস্যা রয়েছে তারা কিন্তু সবসময় ব্যথা কমানোর জন্য ব্যথানাশক ওষুধ খাচ্ছে। এটি থেকে মূলত পেপটিক আলসার রোগটি শুরু হচ্ছে।
আরো একটি বিষয় দায়ী রয়েছে, সেটি হলো, হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি। এই জীবাণুটি দিয়েও আমাদের প্রচুর পরিমাণ আলসার হয়ে থাকে।
প্রশ্ন : কী কী ধরনের পরীক্ষা আপনারা দিয়ে থাকেন?
উত্তর : প্রথমে যে বললাম ইতিহাস নিলাম, সব ক্ষেত্রেই যে আমরা অ্যান্ডোস্কোপি করতে বলি, সেটি নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা রক্তের পরীক্ষা করে জানতে পারি। যেমন : এইচ পাইলোরির পরিবর্তে যদি আমরা রক্তের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করি, তাহলে আমরা জানতে পারি, তার জীবাণুটা রয়েছে কি না। আমাদের একটি ইউরিয়া ব্রেথ টেস্ট রয়েছে, এটি আমরা শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে করে থাকি। অ্যান্ডোস্কোপিও করতে পারি।