চুল পড়ছে? কারণগুলো জেনে নিন
চুল পড়ার সমস্যা কমবেশি সবারই হয়। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০টি চুল পড়া স্বাভাবিক। তবে এর বেশি পড়লে সতর্ক হতে হবে।
চুল পড়ার বিভিন্ন কারণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৫৫২তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. জেসমিন আক্তার লীনা। বর্তমানে তিনি সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের চর্ম ও যৌন বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : চুল পড়াকে কখন সমস্যা বলব?
উত্তর : আসলে এটা সবাই জানি। এত দিনে হয়তো সবার জানা হয়ে গেছে, প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০টি চুল পড়লে একে স্বাভাবিক চুল পড়া হিসেবে ধরা হয়। আর এর চেয়ে যদি বেশি হয়, ২০০ যদি পার হয়, তাহলে ধরে নেব, কোনো কারণ রয়েছে। আর চুল পড়ার আসলে অনেক কারণ থাকতে পারে। এতগুলো কারণ বের করে নিয়ে আসা আসলে কঠিন হয়ে যায়।
মাথার ত্বকের সমস্যা একটি কারণ হতে পারে। এ ছাড়া সিস্টেমিক কিছু অসুখ থাকলে সমস্যা হতে পারে। সিস্টেমিক রোগের মধ্যে অনেক কিছু চলে আসতে পারে। তার যদি থাইরয়েডের সমস্যা থাকে, তার গর্ভাবস্থা, হার্টের সমস্যা থাকলে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে কোনো ওষুধ নিয়মিত খাচ্ছে, নিয়মিত হয়তো জন্মনিয়ন্ত্রক পিল খাচ্ছে, হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস এগুলোর জন্য ওষুধ খাচ্ছে—এ ওষুধের প্রতিক্রিয়ায়ও দেখা যায় অনেক সময় চুল পড়ে যেতে পারে।
লোকাল বিষয়কে দুটো ভাগে ভাগ করি। সিকাট্রিশিয়াল ও নন-সিকাট্রিশিয়াল। সিকাট্রিশিয়াল হলো চুলের গোঁড়া বা হেয়ার ফলিকলগুলো স্থায়ীভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। চুল গজায় না। এটি স্ক্যাল্পে কোনো সংক্রমণ থাকলে হতে পারে। কোনো ব্যাকটেরিয়াল বা ফাঙাল ইনফেকশন বা যেকোনো রোগের কারণে যদি আপনার চুলের গোঁড়া নষ্ট হয়ে যায়, তখন সেখানে আর চুল গজায় না। স্থায়ীভাবে একটি অ্যালোপেসিয়া তৈরি হয়।
এ ছাড়া আরেকটি হতে পারে নন-সিকাট্রিশিয়াল। হয়তো তার কোনো রোগের কারণে হতে পারে। সেরোরিক ডার্মাটাইটিস, সোরিয়াসিসের কারণে। ওখানে হয়তো ফলিকল রয়েছে। তবে পরে আবার চুল গজাচ্ছে। রোগ নিয়ন্ত্রণ হয়ে এলেই আবার পুনরায় চুল গজাচ্ছে।