শরীরে জিংকের ঘাটতি হলে কী হয়?
জিংক শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটি মিনারেল। এটি মানবশরীরের কার্যক্রম ঠিক রাখার জন্য জরুরি উপাদান। এটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। লাল মাংস, গম, ওট ইত্যাদি খাবারে জিংক পাওয়া যায়। শরীরে জিংকের অভাব হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। যেমন : একজিমা, র্যাশ ইত্যাদি। লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে শরীরের জিংকের অভাব হলে কী ধরনের সমস্যা হয় সেই কথা।
স্মৃতিশক্তির অভাব
জিংক আমাদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য বড় ভূমিকা পালন করে। জিংকের অভাব হলে এই কার্যক্রম ব্যাহত হয় এবং নিউরোলজিক্যাল পদ্ধতি ব্যাহত হয়। এটি শেখার অক্ষমতাও তৈরি করতে পারে।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমায়
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে জিংক একটি বড় ভূমিকা পালন করে। এর অভাবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যাদের শরীরে জিংকের অভাব রয়েছে তারা প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, ঠান্ডা এবং ফ্লুয়ের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়।
চুল পাতলা হয়ে যায়
চুল পড়ে যাওয়ার একটি বড় কারণ শরীরের জিংকের অভাব। এটি মাথার কোষগুলোকে দুর্বল করে দেয়। এতে চুল শুষ্ক হয়ে যায় এবং চুল ভেঙে যেতে পারে। এতে চুল পাতলা হয়ে যায়।
ত্বকের সমস্যা
জিংকের অভাব হলে তা ত্বকের ওপর প্রভাব ফেলে। এটি ব্রণ, একজিমা, সোরিয়াসিস, ত্বকের র্যাশ ইত্যাদি তৈরি করতে পারে। জিংক ত্বকের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে আল্ট্রাভায়োলেট রস্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষা দেয়।
দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা
স্বাস্থ্যকর দৃষ্টিশক্তির জন্য জিংক খুব প্রয়োজন। এটি চোখের সুরক্ষা দেয় এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। গবেষণায় বলা হয়, জিংকের অভাবে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে।
হাড় দুর্বল করে
জিংক স্বাস্থ্যকর হাড়ের জন্য জরুরি। এটি হাড়ের গঠনে উদ্দীপকের ভূমিকা পালন করে। জিংকের অভাবে হাড় দুর্বল হয় এবং গাঁটে ব্যথা হয়।