কখন হাড়ের ঘনত্ব নির্ণয় করা জরুরি?

Looks like you've blocked notifications!
হাড়ের ঘনত্ব নির্ণয়ের পরীক্ষার বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. সৈয়দ সহিদুল ইসলাম ও ডা. সাখাওয়াৎ হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

সাধারণত নারীদের মেনোপজের পর আর পুরুষের ৫০ বছরের পর হাড়ের ক্ষয় রোগ হয়। ক্ষয় রোগ মানে হলো হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া। তাই এ সময়টায় হাড়ের ঘনত্ব কেমন রয়েছে, সেটি পরীক্ষা করা জরুরি।

এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৪৬৪তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. সৈয়দ সহিদুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের একাডেমিক পরিচালক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : হাড়ের ঘনত্ব নির্ণয়ে কি রুটিন অনুযায়ী চেকআপ করতে হয়?

উত্তর : অবশ্যই। প্রথম কথা হলো, হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়াকে  আমরা বলি নীরব ঘাতক। অস্টিওপরোসিস বা হাড় ক্ষয় রোগে কিন্তু কোনো লক্ষণ সাধারণত থাকে না। আমরা চিকিৎসকরা  প্রায়ই বলে থাকি, পেইন ইজ দ্য ব্লেসিং ফরম গড। মানে সৃষ্টিকর্তার তরফ থেকে ব্যথা আশীর্বাদ। ব্যথা যখন হয়, তখন মানুষ চিকিৎসকের কাছে যায়, সতর্ক হয়। রোগ নির্ণয় সম্ভব হয়। যেমন, ক্যানসারের শুরুটা কিন্তু ব্যথা দিয়ে হয় না। এতে ক্যানসার যখন নির্ণয় করি, অনেক দেরিতে নির্ণয় করে ফেলি। ঠিক হাড় ক্ষয় রোগটি কিন্তু আপনাকে কোনো ব্যথা দেবে না। কোনো লক্ষণ দেবে না। আপনাকে বুঝতে হবে কিছু কিছু জিনিস দেখে।

প্রথম কথা হলো বয়স। এর পর হলো নারী। ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে বেশি হতে পারে। আপনারা দেখবেন, আমাদের দাদি-নানি আস্তে আস্তে খাটো হয়ে যাচ্ছে। অথবা কেউ কুঁজো হয়ে যাচ্ছে। অথবা সে পড়ে গেছে, সামান্য আঘাতে তার হাড় ভেঙে গেছে। কবজির হাড়, কোমরের হাড় ভেঙে গেছে। তাই ঋতুস্রাব একেবারে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এবং পঞ্চাশ বছরের পর যেকোনো সময়ে অন্তত একবার হাড়ের ঘনত্ব পরীক্ষা করা দরকার।