গর্ভাবস্থায় রোজা : খেয়াল রাখবেন যেসব বিষয়
গর্ভাবস্থা একটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা। এ সময় গর্ভের শিশু ও মায়ের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি জরুরি। অনেকেই গর্ভাবস্থায় রোজা রাখেন বা রোজা রাখতে চান। তবে এ সময় রোজা রাখতে কিছু বিষয় খেয়াল করা অত্যন্ত জরুরি।
গর্ভাবস্থায় রোজা রাখার বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারন্যাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৪৫৫তম পর্বে সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়।
প্রশ্ন : গর্ভাবস্থার কোন সময় রোজা রাখা যেতে পারে?
উত্তর : প্রথমে আমি বলি, ধর্মীয় বিষয়ে কিন্তু তাদের জন্য একটু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাদের জন্য ছাড় দেওয়া রয়েছে। কিছু কিছু মা রয়েছেন, যারা খেতে পারেন না, বমি করছেন, কিছু খেয়েই বমি করে দিচ্ছেন। অল্প অল্প খেতে পারেন। তাদের জন্য রোজা রাখা কিন্তু একটু ঝুঁকির হয়ে যায়। কারণ, বাচ্চা যদি খাবার না পায়, তার বৃদ্ধি কিন্তু আটকে যাবে। এর ফলাফল তাকে আজীবন ভোগ করতে হবে। তো একজন অনাগত মানুষের জীবন কিন্তু অস্থিতির মধ্যে পড়ছে।
তাই আমাকে কিছু বিষয় দেখতে হবে। মা সুস্থ থাকলে, খাবারে কোনো সমস্যা না হলে, সে আর পাঁচজন মানুষের মতোই স্বাভাবিক জীবন যাপন করলে, তার বাচ্চার কোনো সমস্যা না হলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু রোজা রাখতে বাধা নেই।
প্রশ্ন : যে মা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন, তিনি কি রোজা রাখতে পারবেন? সে বিষয়ে আপনাদের পরামর্শ কী?
উত্তর : ধর্মীয় বিষয়ে আসলে কিছু ছাড় রয়েছে। আমি বার বারই এ কথা বলে যাচ্ছি। আসলে সে কতদিন ধরে দুধ খাওয়াচ্ছে, সেটি দেখতে হবে। কারণ, একটিতো পর্যায় রয়েছে যেখানে রোজা রাখা নিষেধ। ওই সময়টা পার হয়ে আমি দেড় থেকে দুই বছর খাওয়াচ্ছি, সেটি আলাদা বিষয়। তখন যদি খাওয়াই তখন তো রোজা রাখতে কোনো বাধা নেই।