মাথাব্যথা : কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
মাথাব্যথার সমস্যায় ভোগেননি এ রকম মানুষ পাওয়া মুশকিল। মাথাব্যথা সাধারণত দুই ধরনের হয়। একটি প্রাইমারি হেডঅ্যাক। আরেকটি সেকেন্ডারি হেডঅ্যাক। তবে কোন মাথাব্যথাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে? বা কোন ধরনের মাথাব্যথায় চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি?
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৪১৫তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. এইচ এন সরকার। বর্তমানে তিনি গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজে মেডিসিন বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : মাথাব্যথাকে কখন গুরুত্ব দিতে হবে?
উত্তর : আপনি বললেন, মাথা থাকলে মাথাব্যথা রয়েছে। এই মাথাব্যথা চিন্তাশক্তি ও মেধার সঙ্গে সম্পৃক্ত। আসলে মাথা ও মাথার আশপাশে যখন ব্যথা হয়, একে আমরা মাথাব্যথা বলি। ৯০ ভাগ মাথাব্যথার কারণ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।
আসলে মস্তিষ্কের বাইরের যে মেমব্রেন থাকে, যাকে আমরা ম্যানেনজাস বলি, এর প্রদাহ হলে, ম্যানেনজাইটিস হয়। এ ধরনের ক্ষেত্রে জ্বর হয়, মাথাব্যথা হয়, গায়ে র্যাশ উঠে। অনেক সময় খিঁচুনিও হতে পারে। এটি গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।
এ ছাড়া আরো অনেক কারণ রয়েছে। যেমন, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে, মস্তিষ্কের বাইরে যে পর্দা, এর নিচে রক্তক্ষরণ হলে গুরুত্ব দিতে হবে। মস্তিষ্কে টিউমার হলেও মাথাব্যথা হতে পারে। এটি অত্যন্ত গুরুতর। তবে সংখ্যায় খুব কম।
ইন্টারন্যাশনাল হেডঅ্যাক সোসাইটি মাথাব্যথাকে দুই ভাগে ভাগ করেছে। প্রাইমারি হেডঅ্যাক ও সেকেন্ডারি হেডঅ্যাক। আসলে প্রাইমারি হেডঅ্যাক নিয়ে অত চিন্তার কিছু নেই। ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে আসলে প্রাইমারি হেডঅ্যাক হয়।
প্রশ্ন : মাথাব্যথা হলে কখন একে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে? কখন উচিত হবে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার ?
উত্তর : যদি ৫০ বছরের পর নতুন করে কোনো মাথাব্যথা হয়, তাহলে এটি চিন্তার বিষয়। চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। মাথাব্যথার সঙ্গে যদি জ্বর ও গায়ে লাল লাল র্যাশ থাকে এবং বমি হয়, তাহলে এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। ম্যানিনজাইটিস হলেও চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর যদি মাথাব্যথা ও বমি থাকে, এই ক্ষেত্রে আমরা চিন্তা করি মস্তিষ্কের টিউমার হতে পারে। এমন হলেও চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।