শিশুদের অ্যাজমা কেন হয়?
অ্যাজমা একটি জটিল সমস্যা।ছোট থেকে বড়, সবারই এই সমস্যা হতে পারে। ধুলাবালি, ফুলের রেণুর সংস্পর্শে আসা, পারিবারিক ইতিহাস ইত্যাদি অ্যাজমার কারণ।
শিশুদের অ্যাজমার বিভিন্ন কারণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩৭৮তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. কামরুজ্জামান কামরুল। বর্তমানে তিনি ঢাকা শিশু হাসপাতালের শিশু রেসপেরিটরি মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : শিশুদের অ্যাজমা কেন হয়?
উত্তর : আমাদের দেশে একটি ধারণা যে শিশুদের অ্যাজমা হবে না। এটি একটি ভুল ধারণা। প্রথমে যখন একটি বাচ্চা আসে শ্বাসকষ্ট নিয়ে আমরা তাদের ইতিহাস নিই। নিয়ে পরীক্ষা করি। এরপর তার মা-বাবার অ্যাজমা রয়েছে কি না, সেটি দেখি। এখানে পারিবারিক ইতিহাস একটি বড় জিনিস। মা-বাবার যদি শ্বাসকষ্ট থাকে তাহলে শিশুটি হয়তো বার বার কাশি- ঠাণ্ডা নিয়ে আসছে। প্রাথমিক অবস্থায় তাকে অ্যাজমা বলা হয় না। ব্রঙ্কলাইটিস বলা হয়। বারবার যখন এটি হতে থাকে, ১৮ মাসের ওপর একটি শিশুর যখন এটি হচ্ছে, তার অব্স্থা বুঝে, পারিবারিক ইতিহাস নিয়ে আমরা ধারণা করি শিশুটির অ্যাজমা হতে পারে।
প্রশ্ন : শ্বাসকষ্ট মানেইতো অ্যাজমা নয়। শ্বাসকষ্ট হলে আপনারা কী করে নির্ধারণ করেন এটি অ্যাজমা বা অন্য কোনো শ্বাসযন্ত্রের রোগ?
উত্তর : একটি বাচ্চা যখন আসে, তখন ইতিহাস নেওয়া হয়, তার পরিবারে কারো অ্যাজমা রয়েছে কি না, জানা হয়। অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে কি না, দেখা হয়। কী খাবার খাচ্ছে? ওই খাবার থেকে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না, দেখার পর আমরা কিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা করি।
আর শ্বাসকষ্ট মানেই অ্যাজমা নয়। শ্বাসকষ্ট কিন্তু বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন : নিউমোনিয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ব্রঙ্কলাইটিস একটি কারণ শ্বাসকষ্টের। ল্যারিঙ্গোমেলেসিয়া এটিও একটি শ্বাসকষ্টের কারণ।
একটি শিশু শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসার পর আমরা দ্রুত একটি এক্স-রে করি। এক্স-রেতে যদি দেখি তার রেডিওলজিক্যাল কোনো বিষয় রয়েছে, তার নিয়মোনিয়ার সমস্যা রয়েছে, কোনো বাধা রয়েছে, তাহলে আমরা ধারণা করি, তার নিউমোনিয়া রয়েছে। আর এগুলো যদি কোনোটাই না হয়, শিশুটির বারবার শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ হচ্ছে, মা-বাবার শ্বাসকষ্ট রয়েছে, সব মিলিয়ে তখন বলা হয় অ্যাজমা। ১৮ মাসের পর তার বারবার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, তখন আমরা ধারণা করি সে ভবিষতে অ্যাজমায় ভুগতে পারে।