সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি কখন পাবেন?

Looks like you've blocked notifications!
ভিটামিন ‘ডি’র অভাবে স্থূলতা হতে পারে। ছবি : সংগৃহীত

ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতি বর্তমানে সারা বিশ্বের একটি স্বাস্থ্যবিষয়ক সমস্যা। ভিটামিন ‘ডি’র অন্যতম উৎস সূর্যের আলো। এ ছাড়া বিভিন্ন খাবারে ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়।

ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতি হলে কী হয়, সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়ার সঠিক সময় কোনটি এবং কোন খাবারে ভিটামিন ‘ডি’ রয়েছে, এসব বিষয় নিয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন স্কয়ার হসপিটালস লিমিটেডের পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান।

পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান বলেন, “ভিটামিন ‘ডি’-কে মূলত সান লাইট বা সূর্যের আলোর ভিটামিন হিসেবে বলা হয়। কারণ, ভিটামিন ‘ডি’ আমাদের শরীরে তৈরি হচ্ছে, যখন আমরা সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসছি। ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতির কারণে অনেক রোগ হয়ে থাকে। হাড়ের রোগ, যেমন রিকেট, অস্টিওপরোসিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস হতে পারে। পাশাপাশি ইনফ্ল্যামেটোরি বাউয়েল ডিজিজ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতি হলে কিন্তু স্থূলতাও হতে পারে। তাই আমাদের অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে ভিটামিন ‘ডি’যুক্ত খাবার গ্রহণ করার।”

অনেকেই জানে না, ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়ার জন্য দিনের আলো কোন সময়টুকু উপযুক্ত। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান বলেন, ‘সম্প্রতি কিছু গবেষণা থেকে দেখা গেছে, দিনের আলোর, অর্থাৎ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সময় ভিটামিন ‘ডি’র জন্য উপযুক্ত সময়। তবে এটি অবশ্যই ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত নিতে হবে।’

এ ছাড়া ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতি প্রতিরোধের জন্য আমাদের অবশ্যই সুষম খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হবে জানিয়ে পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান বলেন, ‘কিছু নির্দিষ্ট খাবার রয়েছে, যেগুলো ভিটামিন ‘ডি’র জন্য উপযুক্ত। খাদ্যতালিকায় যেন কুসুমসহ ডিম থাকে। বিভিন্ন দুগ্ধজাতীয় খাবার থাকে, মাছ থাকে। তবে চেষ্টা করতে হবে সামুদ্রিক মাছ যেন থাকে। সামুদ্রিক মাছ থেকে আমরা প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘ডি’ পেয়ে থাকি। এ ছাড়া মাশরুম, কমলার রস খাওয়া যেতে পারে।’

অনেকে মনে করেন, ভিটামিন ‘ডি’র চাহিদা পূরণ করতে হলে সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসা আর ভিটামিন ‘ডি’যুক্ত খাবার খেলেই হয়। তবে ধারণাটা ভুল জানিয়ে তিনি বলেন, “ভিটামিন ‘ডি’যুক্ত খাবারের পাশাপাশি ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারও খেতে হবে। কারণ, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকলে ভিটামিন ‘ডি’র হজম ভালোভাবে হয় না। তাই ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতি দূর করতে ভিটামিন ‘ডি’যুক্ত খাবার এবং ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার সমানভাবে খেতে হবে। বিভিন্ন ধরনের খাবার থেকে আমরা ক্যালসিয়াম পেতে পারি। যেমন : স্পিনাচ, ওটমিল, ছোট কাঁটাযুক্ত মাছ খেতে হবে। দুগ্ধজাতীয় খাবার থেকেও আমরা ক্যালসিয়াম পেতে পারি। চেষ্টা করতে হবে সপ্তাহে এক থেকে দুদিন মাশরুমের স্যুপ খাওয়ার।’ তাহলে ভিটামিন ‘ডি’র চাহিদা অনেকটা পূরণ হবে বলে মতামত তাঁর।