শিশু লিঙ্গ প্রতিবন্ধী, কীভাবে বুঝবেন?
শিশুর জন্মের পর বা বয়োসন্ধিকালে জননাঙ্গ যেরকম হওয়ার কথা ছিল, সেই রকম না হলে বা শিশুটি ছেলে না কি মেয়ে সেটি ঠিকমতো বোঝা না গেলে তাকে লিঙ্গ প্রতিবন্ধী বলা হয়।
শিশু লিঙ্গ প্রতিবন্ধী হলে কীভাবে বোঝা যাবে, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩১৯তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. নজরুল ইসলাম আকাশ। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশু সার্জারি বিভাগে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : একটি শিশু জন্মের পর কোন পর্যায়ে মা-বাবার কাছে ধরা পড়ে যে তার সন্তানটি লিঙ্গ প্রতিব্ন্ধী হিসেবে জন্ম নিয়েছে?
উত্তর : সাধারণত দুটো সময় আমরা এটি বুঝতে পারব। একটি বাচ্চা জন্মের পর পরই সবাই উদগ্রিব থাকে জানার জন্য যে সে ছেলে না কি মেয়ে। যখন দেখা যায় তার সন্তানটির জননাঙ্গটা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না, রহস্যময়, তখন আমরা ধরে নিই সে এক ধরনের লিঙ্গ প্রতিবন্ধী। এটি হলো একটি সময়।
আরেকটি বিষয় হলো, সে ছেলে অথবা মেয়ে এটি বুঝতে কোনো সমস্যা নেই। সে ছেলে হিসেবে অথবা মেয়ে হিসেবেই বড় হচ্ছে, তবে যখন বয়োসন্ধিকাল, তখন মেয়েদের কিছু বাড়তি বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। যেমন : তার স্তনের বৃদ্ধি হয়, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চর্বি হয়, লোমের এক ধরনের বিন্যাস থাকে, ছেলেদের ক্ষেত্রে তাদের পেশি বাড়ে, তাদের কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হয়, মেল সেক্স অরগান বড় হয়, এগুলো তখন এভাবে পরিবর্তন হয় না। বয়োসন্ধিতে যদি দেখি মেয়েটির ঋতুস্রাব শুরু হচ্ছে না, যেভাবে অন্যান্য বাচ্চাদের বৃদ্ধি হচ্ছে তার হচ্ছে না। ছেলে হলে ছেলেদের সম্পূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো আসছে না, মেয়ে হলেও মেয়েদের বৈশিষ্ট্যগুলো আসছে না অথবা উল্টোটা আসছে, তাহলে আমি ধরে নেব তার ভেতর কোনো সমস্যা হচ্ছে। তখন আমাদের পরীক্ষা করতে হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা ঠিক করতে পারব, তার সমস্যাটা কী। সেই অনুযায়ী আমরা ধাপে ধাপে তার চিকিৎসা করতে পারব।