শিশুকে টয়লেটে যাওয়ার অভ্যাস করাতে করণীয়
কোষ্ঠকাঠিন্য বেশ প্রচলিত সমস্যা। অনেক শিশুই এ সমস্যায় ভোগে। শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার অন্যতম একটি কারণ নিয়মিত বা ঠিকঠাকমতো টয়লেটে যাওয়ার অভ্যাস না করা, পায়খানা আটকে রাখা।
তাই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে শিশুকে নিয়মিত টয়লেটে যাওয়ার অভ্যাস করাতে হবে। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩০৬তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. নজরুল ইসলাম আকাশ। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু সার্জারি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : শিশুর পায়খানার অভ্যাস নিয়মিত করাতে করণীয় কী?
উত্তর : আমরা যেমন একটি শিশুকে খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস করাই, শেখাই কীভাবে খেতে হবে বা কীভাবে জামাকাপড় পরতে হবে, একটি বাসায় মেহমান এলে কীভাবে সালাম দিতে হবে—এগুলো আমার যেমন করে শেখাই, টয়লেটের অভ্যাসটাও বাচ্চাদের সেভাবে শেখাতে হবে।
একটি বাচ্চা ঘুম থেকে ওঠার পর আমরা তাকে টয়লেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। ঘুম থেকে ওঠার পর তাকে আমরা গরম কিছু খেতে দিই। খেতে দিলে তার পায়খানাটা ভালো হয়। তখন আমরা যদি তাকে টয়লেটে নিয়ে যাই, নিয়ে বসালে সে পায়খানা করবে। যদি এ রকম অভ্যাস আমরা তৈরি করতে পারি, তাহলে তার কোষ্ঠকাঠিন্য হবে না। দুপুর অথবা রাতে খাওয়ার আধাঘণ্টা পরে বা ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরে আমরা যদি তাকে টয়লেটে নিয়ে গিয়ে বসাই, সুন্দর জায়গায়, অভিভাবকের উপস্থিতিতে, তাহলে ভালো।
অনেক সময় দেখা যায়, টয়লেটগুলোর সুন্দর পরিবেশ থাকে না। অনেক সময় টয়লেটে পোকামাকড়, তেলাপোকা থাকে। বাচ্চারা ভয় পায়। গ্রামগঞ্জে অনেক সময় বাচ্চারা পায়খানা করতে গেলে কুকুর বা অন্য কিছু এলে ভয় পায়। এই ভয়ে পায়খানা করতে চায় না। এই জন্য বাচ্চাদের টয়লেটের অভ্যাস করাতে হবে। টয়লেটের অভ্যাস ঠিকঠাকমতো করালে তার কোষ্ঠকাঠিন্য হবে না। আর রোগের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হলে এর চিকিৎসা করতে হবে।