গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিসের চিকিৎসায় কী করবেন?
কিডনির ছাঁকনির প্রদাহজনিত জটিল রোগ গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিস। সময়মতো এই রোগের চিকিৎসা না নিলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিসের চিকিৎসা কী?
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩০০তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালে কিডনি রোগ বিভাগে প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিসের চিকিৎসা কী?
উত্তর : সাধারণত প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিসের অনেক কারণ রয়েছে এবং অনেক ধরনের নেফ্রাইটিস রয়েছে। প্রাপ্ত বয়স্কদের যদি হয়, যদি নির্দিষ্ট কোনো কারণ না থাকে, সেই ক্ষেত্রে কিডনি বায়োপসি করে, এরপর কোনো ধরনের লেশন হয়েছে, এটি নির্দিষ্ট করে এরপর তার সঠিক চিকিৎসা দিতে হয়।
আর বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যদি দেখি মুখ ফুলে গেছে, পা ফুলে গেছে, প্রস্রাব পরীক্ষা করে যদি দেখি অ্যালবুমিন প্রচুর পরিমাণে যাচ্ছে, রক্তে তার কোলেস্টেরল অনেক বেড়ে গেছে, অ্যালবুমিন অনেক কমে গেছে, প্রস্রাবে লোহিত কণিকা তেমন নেই, আমরা ধরে নিই এটি বাচ্চাদের নেফ্রটিক সিনড্রম বা মিনিমাল চেইঞ্জ ন্যাপ্রোপ্যাথি। সেই ক্ষেত্রে স্টেরয়েড দিয়ে এর নির্দিষ্ট চিকিৎসায় যেতে হবে।
আর যদি দেখি প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাচ্ছে, সেই সঙ্গে তার প্রেশারটা বেশি, অর্থাৎ একটি বাচ্চার যা থাকা উচিত, তার তুলনায় বেশি, আবার তার মুখ ফুলে গেছে- এ ধরনের অবস্থায় চিকিৎসাটা হলো সাপোর্টিভ চিকিৎসা। তার প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, অতিরিক্ত পানি যেটি রয়েছে, সেটি শরীর থেকে বের করে দেওয়ার জন্য ওষুধ দিতে হবে, সেই সঙ্গে একটি অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হবে জীবাণুটা মেরে ফেলার জন্য। তবে ভাগ্য ভালো থাকলে ভালোভাবে চিকিৎসা দেওয়া গেলে এটি একদম ভালো হয়ে যাবে। চিকিৎসা না পেলে তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।